EVM, VVPAT সহ নন্দীগ্রামের ভোটের সমস্ত নথি ও ভিডিও সংরক্ষণ করতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জিরের দায়ের করা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস ধরাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ অগাস্ট।
নন্দীগ্রামের ভোটে কারচুপি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা ব্যানার্জি।
প্রথমে মামলা যায় কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। কিন্তু কৌশিক চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই অভিযোগ তুলে মামলা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করে প্ৰধান বিচারপতির কাছে চিঠি দেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি। এরপর নন্দীগ্রাম মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি চন্দ। একইসঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার এজলাস বদল হয়। মামলা ওঠে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে।
এদিন মমতার আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি করেছেন রেজিস্টার। বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী পিটিশনে কোন ত্রুটি নেই। এরপরই ভোট সংক্রান্ত সব নথি ও ভিডিও সংরক্ষণের জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
নন্দীগ্রামে মাত্র ১,৯৫৬ ভোটে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি। ২ মে ভোটের রেজাল্টের দিন মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, ফল ঘোষণায় কারচুপি হয়েছে। এটা হতে পারে না। আমি আদালতে যাব।
Comments are closed.