মিথ্যে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠল রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে।
দিন কয়েক আগে একটি ফেসবুক পোস্টে পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার দায়ী, পরিসংখ্যান দিয়ে এমনই দাবি করেছিলেন জয়প্রকাশ। কিন্তু ফেসবুকের নিজেস্ব যে ‘ফ্যাক্ট চেকার’ টিম রয়েছে তারা জানিয়েছে বিজেপির নেতার দেওয়া তথ্যগুলি সঠিক নয়। এখন বিজেপি নেতার ওই ফেসবুক পোস্টটি খুললেই প্রথমে ফেসবুক জানাচ্ছে ‘False Information’।
জয়প্রকাশ ওই ফেসবুক পোস্টে কী লিখেছিলেন? তাঁর দাবি, পেট্রোলের বেসিক রেট ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। এর উপর কেন্দ্রীয় সরকারের ট্যাক্স ১৯ টাকা ৫০ পয়সা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার পেট্রোলের উপর ট্যাক্স নেয় ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। এবং ডিস্ট্রিবিউটাররা নেয় ৬ টাকা ৫০ পয়সা। সব মিলিয়ে মোট দাম ১০০ টাকা। তৃণমূল নেত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি লেখেন, মমতা তুমি সেস হঠাও, পেট্রোলের দাম কমাও।
কিন্তু ফেবসুকের তরফে সাফ জানানো হয় তাঁর দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। ফেক নিউজের রমরমা রুখতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সমস্ত পোস্টের তথ্য যাচাই করে। প্রযুক্তির সাহায্যে এবং একটি ফেক্ট চেকার টিমের মাধ্যমে ফেসবুক এই কাজটি করে থাকে। এই ফ্যাক্ট চেকার টিমটি ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক দ্বারা সারটিফেক্ট প্রাপ্ত।
সব মিলিয়ে ভুয়ো পোস্টের জেরে কার্যত অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি।
যদিও বিজেপির তরফে এর আগেও অভিযোগ করা হয়, পেট্রো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির দায় রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকার পেট্রোল ডিজেলের ট্যাক্স প্রত্যাহার করলেই দাম কম হবে।
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, রাজ্য পেট্রোল থেকে ৪০ টাকা মত আয় করে সেটা কম করে দিলেই দাম কমে যাবে। একই সুর শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। তিনিও জানান, রাজ্য কর প্রত্যাহার করলেই আমরা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করবো কর কাটছাঁট করার।
এদিকে এদিন ফের পেট্রোল ডিজেলের দাম বেড়েছে। কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১০১ টাকা ৭৪ পয়সা, ডিজেল ৯২ টাকা ০২ পয়সা।
Comments are closed.