ভুয়ো আইএএসের খপ্পরে খোদ যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। বুধবার সকালেই কসবা থেকে ধরা পড়ে দেবাঞ্জন দেব নামে এক ভুয়ো আইএএস। সে নিজের ভুল পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করেছিল। এরপর জানা যায় ওই ভুয়ো আইএএসের খপ্পরে পড়েছিলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। বস্তুত মিমির অভিযোগের ভিত্তিতেই খোলসা হয় গোটা ঘটনা।
সাংসদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার কসবা রাজডাঙ্গায় একটি ভ্যাকসিনেসন ড্রাইভ অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তৃতীয় লিঙ্গের কিছু মানুষ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম কিছু মানুষকে নিয়ে ভ্যাকসিনেশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তিনি নিজেও ভ্যাকসিন নেন। বলা হয়েছিল পুরসভার জয়েন্ট কমিশনারের উদ্যোগে শিবির চলছে।
কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মিমি এসএমএস পাননি। হাতে পাননি সার্টিফিকেট। মিমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই শিবিরে টিকা নেওয়া কেউই এসএমএস বা সার্টিফিকেট পাননি।
গোলমালের গন্ধ পেয়ে আগেই রাজডাঙ্গার টিকাকরণ শিবির বন্ধ করে দেন সাংসদ। জানান পুলিশকে। ধরা পড়ে জালিয়াত।
এখন বড় প্রশ্ন হল, করোনার টিকা বলে যা মিমিদের দেওয়া হয়েছিল তা কি আদৌ কোভ্যাক্সিন ছিল?
কসবায় ভুয়ো আইএএস অফিসারকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ জানতে পারে, সে ভুয়ো আইডি কার্ড ও গাড়িতে সরকারের বোর্ড লাগিয়ে প্রতারণা করত। অনেকের কাছে টাকাও নিয়েছে সে। কিছুদিন আগে একটি ভ্যাকসিনেসন ক্যাম্পও করে সে বলে জানতে পারে পুলিশ। পরে জানা যায়, সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিমিকে। নিজেকে পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার হিসাবে পরিচয় দিত সে।
Comments are closed.