ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত আরও দুই। ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের খুড়তুতো দাদা কাঞ্চন দেব এবং স্বাস্থ্যকর্মী শরৎ পাত্রকে সোমবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এই নিয়ে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর আগে দেবাঞ্জন সহ তিনজনকে ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। ধৃত দু’জনকে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হবে।
জানা যাচ্ছে, কাঞ্চন দেব দেবাঞ্জনের অফিসের কার্যত ‘সেকেন্ড ম্যান’ ছিলেন। পৌরসভার কন্ট্রোলিং অফিসার হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করেন দেবাঞ্জন। অফিসের অন্যান্য কর্মীদের দাবি, কাঞ্চনও নিজেকে পৌরসভার প্রশাসনিক আধিকারিক বলে পরিচয় দিতেন। অফিসে দেবাঞ্জনের পাশেই তাঁর জন্যও একটি আলাদা ঘর নির্দিষ্ট ছিল।
যদিও কাঞ্চনের দাবি, তিনিও প্ৰতরণার স্বীকার। দেবাঞ্জনের কীর্তি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। প্রতি মাসে মাইনে দেওয়া হলেও অফিসের কোনও কাজ সম্পর্কেই তাঁকে কিছু জানানো হতে না বলে তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন কাঞ্চন।
অন্যদিকে অপর ধৃত স্বাস্থকর্মী শরৎ পাত্রের কাজ ছিল ভ্যাকসিন দেওয়া। কসবার ক্যাম্পে সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে তিনিই ভ্যাকসিন দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও সিটি কলেজ এবং সোনারপুরে দেবাঞ্জন যে দুটি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন, সেখানেও শরৎ টিকা দিয়েছেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ক্যাম্পগুলোতে যে ভুয়ো টিকা দেওয়া হত সে সম্পর্কে জানতেন শরৎ পাত্র।
তসন্তকারীদের মতে, ধৃত দুজনকে জেরা করে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে। এদিনই ধৃতদের আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানানো হবে।
Comments are closed.