মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আহবানে সাড়া ফ্লিপকার্টের। রাজ্যে বড় বিনিয়োগ করছে ফ্লিপকার্ট। ডানকুনিতে তৈরি হচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহৎ ফুলফিলমেন্ট সেন্টার। এর ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়াতে বেসরকারী সংস্থাগুলিকে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হবে।
সেইমত ডানকুনিতে তৈরী হচ্ছে ফ্লিপকার্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুলফিলমেন্ট সেন্টার। এটি চালু হলে শুধু এই রাজ্যেই মোট ১০ লক্ষ স্কোয়ার ফিট জুড়ে বিস্তৃত হবে ফ্লিপকার্ট। এতে চাকরি হবে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষের। এর আগে এই ডানকুনিতেই তাদের প্রথম ফুলফিলমেন্ট সেন্টার তৈরি করেছিল ফ্লিপকার্ট। এবার দ্বিতীয় উদ্যোগের পিছনেও তারা।
ফুলফিলমেন্ট সেন্টারে গোটা দেশ থেকে জিনিস আসে, এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ হয়। তাই এই ক্ষেত্রে প্রচুর কর্মসংস্থানের আশা রয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ২.২ লক্ষ বর্গফুট এলাকাজুড়ে চালু হতে চলা সেন্টারটি ফ্লিপকার্ট ছাড়াও অন্যতম ই কমার্স সংস্থা মিন্ত্রার কাজে ব্যবহার হবে। সেইসঙ্গে সবকটি সেন্টার মিলিয়ে মোট কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫০ হাজার।
অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর বাংলায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্লিপকার্ট। এই প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি জানান, দেশজুড়ে ফ্লিপকার্ট নিজেদের ব্যবসা ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে কর্মসংস্থান বাড়ছে। বাংলায় বিনিয়োগের ফলে ক্ষুদ্র শিল্পগুলি উপকৃত হবে।
ফ্লিপকার্ট সূত্রে খবর, দেশের দ্বিতীয় শ্রেণির শহরগুলোতে ব্যবসা বাড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় ওয়্যার হাউস করার পরিকল্পনা ছিল। ডানকুনিতে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এজন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশের অন্যতম সেরা ই-কমার্স সংস্থা।
আগেও পূর্ব ভারতে বাণিজ্য বিস্তারের জন্য বাংলার মাটিকে বেছে নিয়েছিল ফ্লিপকার্ট। আর তৃতীয়বার মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ফের বাংলাকে নিজেদের বাণিজ্য বিস্তারের জন্য বেছে নিল ফ্লিপকার্ট।
Comments are closed.