মঙ্গলবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতা হচ্ছেন আলাপন ব্যানার্জি। রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব হচ্ছেন বিপি গোপালিকা।
সোমবার মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জিকে দিল্লিতে কর্মিবর্গ দফতরে যোগ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। যদিও রাজ্য জানিয়ে দেয় তাঁরা মুখ্যসচিবকে এই সংকটের মুহূর্তে অব্যাহতি দিচ্ছে না। এই মর্মে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে একটি পাঁচপাতার চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। আবেদন করেন কেন্দ্রের নির্দেশ প্রত্যাহার করার। আলাপন ব্যানার্জিও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে কর্নপাত না করে সোমবার বিকেলে ফের কেন্দ্রের তরফে একটি চিঠি পাঠিয়ে সত্তর আলাপন ব্যানার্জিকে দিল্লিতে তলব করা হয়।
আর কেন্দ্রের এই চিঠির জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, মুখ্যসচিবের চাকরির যে বর্ধিত মেয়াদ ছিল তা আলাপন ব্যানার্জি গ্রহণ করছেন না এবং সোমবারই তিনি চাকরি থেকে অবসর নিচ্ছেন। উল্লেখ্য ৩১ মে মুখ্যসচিবের চাকরির মেয়াদ ষাট বছর পূরণ হচ্ছে। এই পরই তিনি জানান আলাপনের মত একজন অভিজ্ঞ দক্ষ আমলাকে রাজ্যের প্রয়োজন। সেই কারণে আগামী তিন বছরের জন্য আলাপন ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হল।
আলাপনের বদলি নিয়ে প্রথম থেকেই নিজের অবস্থানে অনড় ছিল রাজ্য। আর এদিন কেন্দ্রের পাঠানো দ্বিতীয় চিঠির জেরে প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান মমতা। মোদীকে তাঁর তোপ, এরকম নির্মম প্রধানমন্ত্রী আমি আগে দেখিনি। মমতার কটাক্ষ মোদী-শাহ জুটি মিলে দেশে সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। যা ইচ্ছে তাই করছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দেশের যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে গুড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন, এভাবে কোনও কারণ ছাড়া রাজ্যের একজন শীর্ষ স্থানীয় অফিসারকে ডেকে পাঠিয়ে শুধু আলাপনকে নয় সমস্ত আমলাদের অপমান করছে কেন্দ্র।
তিনি সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন, আমি সমস্ত বিরোধী দল, দেশের সমস্ত বুদ্ধিজীবী, সব আমলাদের কাছে আবেদন করব একযোগে কেন্দ্রের এই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে।
Comments are closed.