পদ্মভূষণ প্রাপকদের তালিকায় নাম ছিল বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। কিন্তু পুরস্কার ঘোষণা মাত্রই তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছেন সঙ্গীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখার্জি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আমলে রাজ্যের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে ভারতরত্ন দিতে চাওয়া হয়েছিল। তিনিও তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে নাম ঘোষণার আগে জ্যোতি বসু পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নাম ঘোষণার পরে তা করেছেন। যা নিয়ে বাড়তি জল্পনা শুরু হয়েছে।
নাম ঘোষণার পর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, পদ্মভূষণ পুরস্কার নিয়ে আমায় কেউ কিছু বলেননি। যদি আমায় এই পুরস্কার দেওয়া হয় থাকে, তাহলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শের বাম সরকারের একজন মুখ্যমন্ত্রীকে পুরস্কার দিয়ে মোদী সরকার দেশের কাছে নিজেদের রাজনৈতিক উদারতা তুলে ধরতে চেয়েছিল। কিন্তু পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে বিজেপিকে সে সুযোগ দেননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
সঙ্গীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখার্জির খেতাব ফেরানো নিয়েও নানান জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকের মতে দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে সন্ধ্যা মুখার্জি আজ যে জায়গায় রয়েছেন, সেখানে পদ্মশ্রী তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য যথেষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, তাঁকে পদ্মশ্রী দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে দিল্লি থেকে ফোন এসেছিল। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
Comments are closed.