করোনাভাইরাসের জেরে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি। অর্থনীতির স্বার্থে আগে করোনাভাইরাসের আশঙ্কা দূরে রেখে সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় হতে হবে, মন্তব্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-র প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের।
সম্প্রতি ব্লুমবার্গ টেলিভিশনের একটি সাক্ষাৎকারে ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের (আইএমএফ) প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন বলেন, আগে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রয়োজন, তারপর অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা। আর এ ব্যাপারে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কগুলির করণীয় প্রায় কিছুই নেই, বরং সরকারের আরেও কার্যকরী পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। আমজনতার বিশ্বাস অর্জন করতে হবে যে, এই মারণ ভাইরাস এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
চিন থেকে শুরু করে প্রায় গোটা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাসে ভীত। তার তীব্র প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছে বহু দেশ। যাকে বিশ্ব অর্থনীতির পক্ষে অশুভ সংকেত হিসেবে দেখছেন শিকাগো বুথ স্কুল অফ বিজনেসের অধ্যাপক রঘুরাম রাজন। তাঁর কথায়, করোনাভাইরাস ছড়ানোয় বিশ্ব অর্থনীতি ক্রমশ বিপজ্জনকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ছে সারা বিশ্ব। এই অবস্থায় সরকারকেই বড় ভূমিকা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা কর্পোরেশনের অর্থনীতিবিদরা বৃহস্পতিবার পূর্বাভাস দিয়েছেন ২.৮ শতাংশের আশেপাশে থাকবে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি। যা ২০০৯ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা দূর করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজন। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের জেরে বিভিন্ন সংস্থার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলে আটকে যাচ্ছে পণ্য সরবরাহ। দ্রুত এই সংকটময় অবস্থা থেকে বেরিয়ে না এলে বিশ্ব অর্থনীতি আরও বিপাকে পড়বে বলে মন্তব্য করেন রাজন। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ক্ষেত্র ক্রমশ খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। এই ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সবাইকে ভাবনা-চিন্তা করতে হবে।
Comments are closed.