আগামী বছরের শুরুতে করোনা ভ্যাকসিন এসে যাবে বলে আশা করছে কেন্দ্র। কিন্তু আমজনতার হাতে তা ঠিকঠাক পৌঁছবে কবে? কবে শুরু হবে গণ টিকাকরণ? এই পরিস্থিতিতে একটু এগিয়েই ভাবছে কলকাতা পুরসভা। করোনার টিকায় আইসিএমআর-এর অনুমোদন মিললেই শহরবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন টিকা যেমন শহরবাসীকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়, করোনা টিকার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না বলে পুরসভা সূত্রে খবর। একইভাবে জেলার বাসিন্দাদেরও করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন টিকা নাগরিকের অধিকার। কেউ তা থেকে বঞ্চিত হবে না। কেন্দ্র জানিয়েছে কোনও রাজ্যকেই আলাদা করে ভ্যাকসিন কিনতে হবে না। সরাসরি উৎপাদক সংস্থার থেকে কিনে তা বণ্টন করবে কেন্দ্র। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের এ দেশে প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গেটস ফাউন্ডেশনের সাহায্য মেলায় টিকার প্রতিটি ডোজের দাম হবে প্রায় ২৪০ টাকা। সবকটি ডোজ মিলিয়ে দাম হতে পারে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা।
জানা যাচ্ছে, এই বিষয়টিকে খেয়াল রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বিনামূল্যে করোনা টিকা বিলির ব্যাপারে শুরু হয়েছে আলাপ-আলোচনা। অন্যান্য জেলা থেকে শহরে করোনা রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসায় কলকাতায় সংক্রমণ মাত্রা একটু বেশি। তাই টিকা আবিষ্কার এবং তা হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই গণ টিকাকরণের পরিকল্পনা রয়েছে পুর-কর্তৃপক্ষের। আর এই কাজে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর, পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে। টিকার খরচের দিক থেকে কেন্দ্রীয় সরকার দামে কিছু ভর্তুকি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু তা না হলে, কত খরচ পড়বে সে ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে খবর। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি লাগবে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, পুরসভা প্রত্যেক নাগরিককে ভ্যাকসিন দিতে চায়। শহরবাসীর জীবন সুরক্ষিত করার দায়িত্ব পুর কর্তৃপক্ষের। তবে কোভিড ১৯ মোকাবিলার বিষয়টি যেহেতু স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে তাই তারা অনুমোদন দিলেই টিকাকরণের কাজে নেমে পড়া হবে।
Comments are closed.