অবশেষে তাজপুর বন্দর নিয়ে জোট কাটল। বন্দর তৈরির বরাত পেল আদানি গোষ্ঠী। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন ফিরহাদ হাকিম। বন্দর তৈরিতে সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর তাতে শুধু প্রত্যক্ষভাবে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে, দাবি নবান্নের।
দীর্ঘ দিন ধরেই তাজপুর বন্দর তৈরি নিয়ে আলোচনা চলছিল। তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী কার্যত তাজপুর বন্দর তৈরি নিয়ে তৎপরতা শুরু করেন। সেই সময় নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন গৌতিম আদানি। বাণিজ্য সম্মলেনও রাজ্যে বিনিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার।
নবান্ন সূত্রে খবর, তাজপুর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডেকেছিল নবান্ন। তাতে আদানি গোষ্ঠীর পোর্টস এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোন, জিন্দাল গ্রুপ ছাড়াও দেশ বিদেশের আরও একাধিক সংস্থা অংশগ্রহণ করেছিল। অবশেষে সর্বচ্চ দরপত্র দিয়ে বন্দর তৈরির টেন্ডার পায় আদানিরা। নবান্নের দাবি, তাজপুর বন্দরকে ঘিরে প্রত্যক্ষভাবেই শুধু ২৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সেই সঙ্গে পরোক্ষভাবে প্রায় ১ লক্ষ চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।
Comments are closed.