ফের যোগী রাজ্যে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ! শুধু উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীই নয়, তার পাঁচ ছেলে ও ভাইপো-সহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন এক বিধবা। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার এফআইআর দায়ের হয় ওই সাতজনের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই বিধবা পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ পর এফআইআর দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে ২০১৬ সালে বিজেপি বিধায়কের ভাইপো সন্দীপ তিওয়ারি প্রথম ধর্ষণ করে। এরপরে তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি বলে জানান ওই বিধবা। এরপর ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের সময় একটি হোটেলে তাঁকে লুকিয়ে রাখা হয়। তিনি জানান, সেখানে বিজেপি বিধায়ক, তাঁর ভাইপো-সহ মোট সাতজন দফায় দফায় তাঁকে ধর্ষণ করে। বিধায়ক ছাড়া তাঁর পাঁচ পুত্র সচিন, চন্দ্রভূষণ, দীপক, প্রকাশ ও নীতেশ তাঁর উপর বারবার শারীরিক নির্যাতন চালায়। মহিলার আরও অভিযোগ, সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে জোর করে তাঁর গর্ভপাতও করানো হয়। এই নিয়ে একটি প্রমাণও তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট রবীন্দ্র ভার্মার কাছে জমা দেন। এরপরেই বিজেপি বিধায়ক, তার ছেলে ও ভাইপো-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডি ধারায় গণধর্ষণ, ৩১৩ ধারায় মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করানো, ৫০৪ ধারায় ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান এবং হুমকির অভিযোগে ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর। রবীন্দ্র ভার্মা জানিয়েছেন, ওই মহিলার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। প্রয়োজনে তা আদালতে জমা দেওয়া হবে।
পুলিশকে ওই বিধবা জানিয়েছেন, গত ২০০৭ সালে তাঁর স্বামী মারা যান এবং তাঁদের কোনও সন্তান নেই, ২০১৪ সালে ট্রেনে করে মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার পথে অভিযুক্ত সন্দীপ তিওয়ারির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপর গত ৮ অগাস্ট, ২০১৬ সালে বারাণসী স্টেশনের কাছে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে বিজেপি বিধায়কের ভাইপো। তবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তিনি সেসময় কোনও আইনি পদক্ষেপ করেননি বলে মহিলার দাবি। কিন্তু এরপর বারাণসী,মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে বারবার তাঁকে ধর্ষণ করে সন্দীপ তিওয়ারি, বিধায়ক কাকা ও তার পাঁচ ছেলে।
Comments are closed.