করোনা ভ্যাকসিন কীভাবে বাড়িতে তৈরি করা যায়? প্রশ্নে জেরবার নেট দুনিয়া! অগাস্টের এক নম্বর প্রশ্ন, অমিত শাহের কি কোভিড পজিটিভ?

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে মাস ছয়েকেরও বেশি। এখনও বাজারে পৌঁছয়নি কোনও টিকা। সারা বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা যখন করোনা ভ্যাকসিন গবেষণায় দিন-রাত এক করছেন, তখন সাধারণ মানুষ কী জানতে চাইছেন জানেন?
গত জুলাই মাসে গুগলে অন্যতম সর্বাধিক সার্চ হওয়া প্রশ্নটি কী, কোনও ধারণা আছে আপনার? প্রশ্নটি হল, ঘরে বসে করোনার টিকা বানাবো কীভাবে? (How to make COVID Vaccine at home?)
বিশ্বের তাবড় গবেষকরা যখন ল্যাবরেটরিতে হন্যে হয়ে ভ্যাকসিনের সন্ধান করছেন, তখন গুগল জানাচ্ছে, একই কাজে রত বিশ্বের লক্ষ কোটি মানুষও। তাই আপনি হয়তো নামি দামী গবেষণাগারের টিকার অপেক্ষায় বসে আছেন, দেখলেন বাড়িতে বসে স্রেফ গুগল সার্চ করে করোনার টিকা আবিষ্কার করে ফেলেছেন কোনও নেটিজেন!
ভারতে সেই সময় বচ্চনরা করোনা সংক্রমিত হন। ফলে বলিউডের ফার্স্ট ফ্যামিলি ছিল নেটিজেনদের মনোযোগের কেন্দ্রে। তাঁরা প্রোফেসর গুগলের কাছে প্রতিনিয়ত জানতে চেয়েছেন, কেমন আছেন অমিতাভ বা কেমন আছেন ছেলে অভিষেক? ঐশ্বর্যা বচ্চন বা আরাধ্যারও কি করোনা পজিটিভ? জয়া বচ্চনের কি সত্যিই করোনা হয়নি? এই ধাঁচের প্রশ্ন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সার্চ করার তালিকায় দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, বাড়িতে কীভাবে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়?
গুগলের সার্চ রেজাল্ট বলছে, অগাস্টে ‘ভ্যাকসিন চলে এল বলে’ প্রশ্ন নেটিজেনদের মধ্যে খানিকটা হলেও স্তিমিত। তার জায়গা নিয়েছে কোভিড নিয়ে বুনিয়াদি প্রশ্নের পাশাপাশি কিছু অতি সাধারণ, কিন্তু মজাদার জিজ্ঞাসা।
অগাস্টে সবার নজরের কেন্দ্রে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রথমে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। তারপর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর ফের হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। স্বভাবতই ভারতের নেটিজেনদের বড়ো চিন্তার বিষয় অমিত শাহের স্বাস্থ্য। প্রশ্নও এসেছে এই লাইনেই। অগাস্ট মাসে দেশে গুগলে সবচেয়ে বেশিবার সার্চ হয়েছে, অমিত শাহ কি করোনা পজিটিভ? (Is Amit Shah Corona Positive?) প্রশ্নটি।
মনে রাখবেন, আমাদের রোগের সঙ্গে লড়তে হবে, রোগীর সঙ্গে নয়। করোনা কালে এই কলার টিউন শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বেশ কয়েকমাস চলার পর অনেকেই একে বন্ধ করার উপায় খুঁজছেন। সেই প্রতিচ্ছবি গুগলেও। সেখানে বিপুল সার্চ, কীভাবে করোনা কলার টিউন বন্ধ করবো, তার উপায় জানতে চেয়ে।
সব মিলিয়ে নেটিজেনদের হাজারো প্রশ্নের থেকে রেহাই নেই প্রোফেসর গুগল বা আধুনিক সিধু জ্যাঠার।

Comments are closed.