বেআইনি টোটোর দাপট কমাতে এবার নতুন নীতি আনছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বেলাগাম টোটোকে লাগাম পরাতে তৎপর হয়েছে পরিবহণ দফতর। এই মুহূর্তে রাজ্যে ২০ থেকে ২২ লক্ষ অবৈধ টোটো রয়েছে। কিন্তু এর সঠিক তথ্য সরকারের হাতে নেই। তাই প্রথমে টোটো সুমারি’র সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলা, ব্লক, পুরসভা কিংবা নির্দিষ্ট কোনও পঞ্চায়েত এলাকার কোথায় কত টোটো চলছে, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করবে প্রশাসন। টোটো মোটর ভেহিকল আইনের আওতায় না পড়লেও বিকল্প উপায়ে তা নথিভুক্তির কাজ শুরু হবে। তারপর সমস্ত টোটোতে বসবে ‘কিউআর কোড’। সেই কোড স্ক্যান করলেই টোটোর মালিকের যাবতীয় তথ্য, চলাচলের পরিধি সহ সমস্ত বিবরণ সামনে চলে আসবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য গাড়ির মতো বিশেষ নম্বর সম্বলিত স্টিকারও দেওয়া হবে টোটোগুলিকে।
এর পাশাপাশি বাস বা অটোর যেমন নির্দিষ্ট রুট পারমিট থাকে, টোটোর ক্ষেত্রেও আগামী দিনে সেভাবেই যাতায়াতের রুট বেঁধে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবহণ দফতরের বক্তব্য, টোটোর জন্য রাস্তায় যানবাহনের গতি কমে যাচ্ছে বলে প্রচুর অভিযোগ আসছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে, রাস্তার মসৃণ গতি নিশ্চিত করতে হবে। তাই আইন মেনে টোটোকে নিয়মের মধ্যে আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
রাজ্য সরকারের বক্তব্য, এর ফলে টোটো চালকদের জীবন-জীবিকা কোনওভাবেই ব্যাহত হবে না। বরং আরও উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার তাদের সবরকম সহায়তা করবে। গত ৬ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে পরিবহণ মন্ত্রী, সচিব ও বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। সেখানে পুলিসের তরফে অভিযোগ করা হয়, নিয়ম ভেঙে রাজ্য কিংবা জাতীয় সড়কে যাত্রী নিয়ে ছুটছে টোটো। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যজুড়ে টোটো নিয়ন্ত্রণের তোড়জোড় শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে সরকারের এক অফিসার বলেন, কিউআর কোড এবং বিশেষ স্টিকার তৈরির দায়িত্বে থাকবে তথ্য প্রযুক্তি দফতর। টোটো সংক্রান্ত একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করা হবে। পরবর্তী সময়ে পুলিসকে তা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।
Comments are closed.