বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের। সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুললেন তিনি। তাঁর কথায়, মানবাধিকার দিবসে ডায়মন্ড হারবারে যা ঘটল তা গণতন্ত্রের লজ্জা। সংবিধানের বাইরে যেতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী। ‘বহিরাগত’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে ধনখড় বলেন, ডায়মন্ড হারবারের ঘটনা সংবিধানের পক্ষে অবমাননাকর। জানান, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট করছেন তিনি। ধনখড়ের মন্তব্য, দেশের নাগরিকদেরই বহিরাগত বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী কী করে এমন ভাষা প্রয়োগ করেন, প্রশ্ন তাঁর। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চান। এতে ওঁরই সম্মান বাড়বে। মমতাকে নিশানা করে ধনখড়ের তোপ, ‘আপনি সংবিধান থেকে সরলে আমার দায়িত্ব শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি এবং পক্ষপাতমূলক আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বহু চিঠি দিয়েও একটিরও জবাব পাননি। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির সমালোচনা করে রাজ্যপাল বলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের আচরণ সংবিধানের পক্ষে অবমাননাকর। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানালেও রাজ্য প্রশাসন তাতে আমল দেয়নি বলে অভিযোগ ধনখড়ের। প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিত কর পুরকায়স্থের কাজ নিয়ে। অবসরের পরেও কেন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাঁকে এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, কয়েক জন আমলা সরকারি কর্মী না হয়ে রাজনৈতিক কর্মীর মতো কাজ করছেন। রাজ্যে সর্বত্র দুর্নীতি চলছে। বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে।
Comments are closed.