নিউটাউন মেলাপ্রাঙ্গণে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে বসেছে সরস মেলা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এই মেলার এক একটা স্টলের রোজগার লজ্জায় ফেলে দেবে অনেক ছোট শিল্প সংস্থাকেও।
প্রতিটি স্টলের বাইরে লম্বা লাইন। সাধারণ মানুষ দু’হাত ভরে কিনছেন বাংলার মেয়েদের তৈরি ঝিনুকের দুর্গা, পাটের ময়ূর, খড়ের পেন্টিং। নভেম্বরে বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, গ্রামই এখন গ্রোথ সেন্টার। বড় শিল্প তত কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারছে না, যা করছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প! মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির প্রমাণ দিচ্ছে সরস মেলার বাংলার মেয়েদের পসরা।
গাইঘাটার ঝিনুকের শো পিস, মালদহের লিচুর মধু, বালুরঘাটের চিনি আতপ, রায়গঞ্জের তুলাইপাঞ্জি, মুর্শিদাবাদের শাড়ি, কিংবা হাওড়া জৈব ফুলকপি টেবিলে সাজাতে না সাজাতেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
মেলা শেষের আগেই অধিকাংশ স্টলে আশি শতাংশ জিনিস বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কেউ চাহিদা দেখে ফের নতুন করে আনিয়েছেন। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, আনন্দধারা প্রকল্পের আওতায় বাংলার মা-বোনেদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই এই সরস মেলা। কলকাতার পর ৫ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে শুরু হবে সরস মেলা। এছাড়াও সৃষ্টিশ্রী নাম নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ এবং দুর্গাপুরেও হবে মেলা। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এদের তৈরি করা জিনিস অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Comments are closed.