বাঁকুড়ার এক কৃষক পরিবারের সন্তান। যাপনের তাগিদে কখনও পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছেন। আবার কখনও বাজারে বাজারে মনোহরী সামগ্রী ফেরি করে বেড়িয়েছেন। বর্তমানে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করেন। তবে এসবের মধ্যে তাঁর কলম থেমে থকেনি। নিজের দৈনন্দিন দেখাকে গল্পের মোড়কে তুলে ধরেছেন। যা মন কেড়েছে অগুনতি পাঠকের। এবার সাহিত্য আকাদেমি যুব পুরস্কার পেলেন বাঁকুড়ার রূপপাল গ্রামের হামিরউদ্দিন মিদ্যা।
পেশায় কৃষক হানিফ মিদ্যা ও আজমিরা বিবির সন্তান হামিরউদ্দিন। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই অর্জন করেছেন দেশের সেরা সাহিত্য পুরস্কার। দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেই লেখা চালিয়ে গিয়েছেন। হামিরউদ্দিনের লেখাতেও উঠে এসেছে গ্রাম্য জীবন, প্রান্তিক মানুষের কথা। সেই সঙ্গে নিজের মতো করে দেখেছেন প্রকৃতিকেও। হামিরউদ্দিনের প্রতিটি গল্পই যেন গ্রাম বাংলার এক টুকরো ছবি।
২০১৮ সালে তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ‘আজরাইলের ডাক’। এরপর ২০১৯,২০২১,২০২২ সালে সাহিত্য আকাদেমির জন্য মনোয়ন পায় তাঁর বই। তবে অবশেষে ২০২৩ সালে তাঁর ‘মাঠরাখা’ বইটির জন্য শেষমেশ স্বীকৃতি পেলেন হামিরউদ্দিন। বইটিতে মোট ১৮টি গল্প রয়েছে।
জানা গিয়েছে, দেশের কুড়িটি ভাষার মোট কুড়ি জন সাহিত্যিককে মনোনীত করা হয়েছিল যুব পুরস্কারের জন্য। তাঁদের মধ্যে থেকে হামিরউদ্দিনকে বেছে নেওয়া হয়। তাঁর প্রথম গল্প ‘লগ্নঊষা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
সোনামুখীর ধুলাই রামকুমার মৃন্ময়ী বিদ্যমন্দির থেকে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক পাস করেন হামিরউদ্দিন। এরপর ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক। অভাবের সংসারে মাঝ পথেই পড়াশোনা ছাড়তে হয়। যদিও বর্তমানে ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে বাংলা নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেছেন হামিরুউদ্দিন।
Comments are closed.