কাতারে বিশ্বকাপ চলছে। আর একসময়ে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বাংলার এক তরুণ এখন অটো ড্রাইভার। ২০১০ সালে ব্রাজিলে আয়োজিত গৃহহীনদের বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা অরিন্দম ঘোষাল একমাত্র জায়গা পেয়েছিলেন। তাঁকে গোলরক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দ্রুত গতিতে ছুটে আসা বল সামলিয়েছিলেন তিনি। এরপর কেটে গিয়েছে ১২ বছর। আজ অটো চালিয়ে পেট চালাতে হয় অরিন্দমকে।
তবে অটো চালিয়ে পেট চালালেও সময় করে দিনের মধ্যে একটা সময় ফুটবল খেলা চালিয়ে যান তিনি। কারণ এই ফুটবল তাঁর বেঁচে থাকার রসদ। একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, একটা চাকরি পাইনি। বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সাহায্যে একটি অটো চালাতে শুরু করি। দেশের ফুটবলের অবস্থা মনে করে তিনি বলেন, বিদেশে ফুটবল খেলার জন্য পরিকাঠামো কত উন্নত। আর আমাদের এখানে পেট ভরে খাবার জোটেনা। ব্রাজিল থেকে ফিরে আসার পর পায়ে চোট পান অরিন্দম। হাঁটু ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গিয়েছিল। অপারেশন হয় পায়ের। অপারেশনের পরেও মাঠে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আগের মতন সেই শক্তি পান না। অভিমান করে জার্সি, বুট সবাইকে দিয়ে দিয়েছেন। সঙ্গে রেখেছেন শুধু ব্রাজিল থেকে পাওয়া সার্টিফিকেট। কোনও এক সময় শুধু জাতীয় দল নয় ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র, এফসিআই, রাজস্থানের মত দলেও খেলেছেন অরিন্দম বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০০৩ সালে শুরু হয়েছিল গৃহহীনদের জন্য বিশ্বকাপ। ২০১৫ সাল থেকে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়মায়ক সংস্থা উয়েফা ও বিশ্ব ফুটবলারদের সংগঠন ফিফরোও এই বিশ্বকাপের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভাবে যুক্ত। ‘স্লাম সকার’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভারতে এই খেলা প্রসারের জন্য দায়িত্বে রয়েছে।
Comments are closed.