নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। সরে দাঁড়ানোর আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বললেন। বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য এই জরিমানা করা হয়েছে। যে টাকা জমা হবে রাজ্য বার কাউন্সিলে। কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় খরচ হবে এই টাকা।
এররাগেই বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাস থেকে মামলা সরানোর আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কৌশিক চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে তৃণমূল। তাঁর এজলাসে মামলা চললে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্ৰশ্ন থেকে যাবে বলে সংশয় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি৷
এবার মামলা কোন বেঞ্চে হবে তা মাস্টার অব রোস্টার হিসেবে ঠিক করবেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।
তবে এদিন কৌশিক চন্দ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জন্য নয় বরং বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার ফলেই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জরিমানা ধার্য করা লজ্জাজনক বিষয়।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে ভোটের ফলে কারচুপির অভিযোগ এনে হাইকোর্টে মামলা করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু মামলা ওঠে কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে। ২৫ জুন মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকলেও মমতার আইনজীবী মনু সিংভি বিচারপতি চন্দকে ওই মামলা থেকে আওরে দাঁড়ানোর আবেদন করেছিলেন।
Comments are closed.