স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৭ দিনের মধ্যে তথ্য দিয়ে প্রাপ্ত নম্বর সহ ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। যাঁরা তালিকায় স্থান পাবেন না তাঁরা কেন পেলেন না, তাও কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন বহাল থাকবে নিয়োগে স্থগিতাদেশ।
শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগ মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভর্ৎসনা করে আদালত। বিচারপতি বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন অপদার্থ। এই কমিশনকে অবিলম্বে খারিজ করা উচিত। কোন আধিকারিকরা কমিশন চালাচ্ছেন? প্ৰশ্ন করেন বিচারপতি।
আপার প্রাইমারিতে ১৪ হাজার ৩৩৯ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটি ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ নোট পর্ষদ। সেই তালিকায় গড়মিল আছে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেইরকম একটি মামলায় এদিন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ৫ বছরে কমিশন নিয়োগ করতে পারেনি, এই কমিশনকে বরখাস্ত করা উচিত।
হাই কোর্টের বিচারপতির নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের তালিকা নতুন করে প্রকাশ করতে হবে। সেই তালিকায় থাকবে প্রাপ্ত নম্বর। পাশাপাশি যাঁরা নিয়োগ পেলেন না, তাঁরা কেন তা পেলেন না তাও কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের ইঙ্গিত আগামী শুক্রবার এই দুই বিষয়ে সন্তুষ্ট হলে উঠতে পারে স্থগিতাদেশ।
গত মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু মামলাকারীদের তরফে অভিযোগ করা হয়, বেনিয়ম মোড়ে তালিকা প্রকাশ মরা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, অনেক পরীক্ষার্থীই বেশি নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউতে ডাক পাননি। এরপরই আপাতত শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
Comments are closed.