গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ মামলায় হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, প্রয়োজনে হলে সিবিআইকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানো হবে। এদিন কথা মতোই সিবিআইকে দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল আদালত।
এসএসসি গ্রুপ ডি পদে ২৫ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সম্প্রতি এই মামলায় এসএসসির সচিবকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি, সেই সঙ্গে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিনের হলফনামায় পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এসএসসির সুপারিশের ভিত্তিতেই ২৫ জনকে নিয়োগ পত্র দিয়েছে মধ্যেশিক্ষা পর্ষদ। যদিও এসএসসির তরফে আগেই আদালতে জানানো হয়েছিল, ৪ মে ২০১৯-এর পর পর্ষদের কাছে তারা কোনও সুপারিশপত্র পাঠায়নি। ফলে হলফনামায় পর্ষদের দাবি ঘিরে বিস্ময় প্রকাশ করেন জাস্টিস গাঙ্গুলি। শুনানি শেষে তিনি বলেন, কমিশন সুপারিশ না করলে, পর্ষদ কীভাবে ওই ২৫ জনকে নিয়োগ পত্র দিল? কোন অদৃশ্য হাতে পর্ষদে সুপারিশ পত্র পৌঁছাল? এর নেপথ্যে দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করতে হবে। রাজ্য পুলিশকে সম্মান জানিয়েই এই মামলায় সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হল, জানান বিচারপতি গাঙ্গুলি।
সিবিআই অধিকর্তার নেতৃত্বে ডিআইজি পদ মর্যাদার আধিকারিক এবং যুগ্ম অধিকর্তাদের নিয়ে কমিটি তৈরি করে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় আদালত। যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের তরফে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে কমিটি গড়ে তদন্তের পক্ষে সওয়াল করা হয়।
উল্লেখ্য, মামলাকারীদের তরফে আদালতে মামলা দায়ের করে অভিযোগ করা হয়, মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও এসএসসির তরফে ২৫ জনের নিয়োগের সুপারশি করা হয়। এই মামলায় কমিশনের তরফে হলফনাম দিয়ে জানানো হয়, ৪ মে ২০১৯ এর পর কমিশন নিয়োগ নিয়ে কোনও সুপারিশ করেনি।
Comments are closed.