নির্বাচনে পুনর্গণনার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মহিষাদলের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ ব্যানার্জি। প্রায় আড়াই হাজার ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে একই দাবিতে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল পাণ্ডবেশ্বরে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারির। তিনি তৃণমূলের কাছে ৩ হাজার ৮০৩ ভোটে পরাজিত হন।
মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহের প্ৰথম দিকে হতে পারে। এই ঘটনায় মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এতদিন পর টনক নড়ল? নিয়ম বলছে ফল ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয়। তাঁর কটাক্ষ, পুনর্গণনা করেও কিছু হবে না।
অন্যদিকে মহিষাদলে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ ব্যানার্জির দাবি, পুনর্গণনা হলে আমি জিতব। গণনায় জটিলতা রয়েছে। আমি মাত্র ২,৩৮৬ ভোটে পরাজিত হয়েছি।
নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি তুলে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন মমতা ব্যানার্জি। এরপরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অল্প ব্যবধানে যেসব কেন্দ্রে হার হয়েছে, সব আসনে পুনর্গণনার দাবিতে বিজেপি আদালতে আবেদন জানাবে। রাজ্যে অন্তত ৫০টি আসনে খুব কম ব্যবধানে হেরেছে বিজেপি। সেইসব আসনগুলিতে ফের গণনার আবেদন জানানোর প্রস্তুতি চলছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, ফল ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করাই নিয়ম। এক্ষেত্রে ৪৫ দিনের সময় সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। তাহলে কী করে আদালতের হস্তক্ষেপ সম্ভব? বিজেপি সূত্রে খবর, করোনার কারণে সময় সীমার মধ্যে আবেদন জানানো যায়নি। তাই এখন তা জমা করা হচ্ছে।
Comments are closed.