স্কুল খোলার বিষয়ে রাজ্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা হাইকোর্টে জানাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। স্কুল খোলা নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। শুনানির শেষে হাইকোর্ট জানায় এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি।
এদিন শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ভার্চুয়াল পড়াশোনা আর ক্লাসে গিয়ে পড়াশোনার অনেক পার্থক্য। অনেক পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে ক্লাস করার পরিকাঠামো নেই। তাই বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। অন্যদিকে রাজ্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, অনলাইন এবং অফলাইন ক্লাসের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এটা মানছি। কিন্তু সব শেষে কিছু হলে দায়িত্ব রাজ্যকেই নিতে হবে। তিনি এও বলেন ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু ১২ বছরের নীচে এখনও টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। পুজোর পর স্কুল বন্ধ করতে চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল। এরপর কোভিড পরিস্থিতি বাড়তে স্কুল বন্ধ করে দেয় রাজ্য। এখন আবার স্কুল খুলতে চেয়ে দায়ের হয়েছে মামলা। মামলাকারীদের কেউ অভিভাবক নন।
বৃহস্পতিবার ইছাপুর হাইস্কুলের শিক্ষক প্রিয়ঙ্কর ভট্টাচার্য স্কুল খোলা নিয়ে মামলা দায়ের করে। এই নিয়ে চতুর্থ মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে।
কয়েকদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যর বিষয়টি আগে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। ধাপে ধাপে স্কুল খোলা যায় কিনা তা দেখতে হবে।
Comments are closed.