ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে হাওড়া। দু’দিন পর সোমবার সকাল ৭ টার মধ্যেই হাওড়ার ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে। স্বস্তিতে জেলার বাসিন্দারা। যদিও উত্তেজনা প্রবণ এলাকাগুলোতে এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উলুবেড়িয়া, পাঁচলা, ধুলাগড়, অংকুরহাটির মতো স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আগামী বুধবার ১৫ জুন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
সোমবার সকালেও উত্তেজনাপ্রবণ জেলাগুলোতে রুট মার্চ শুরু করেছে পুলিশের বিশালবাহিনী। সেই সঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে দোকানবাজার খোলার আবেদন করা হয়েছে। এদিন সকালেই দেখা যায়, পাঁচলার একাংশে দোকান বাজার খোলা শুরু হয়েছে। পুলিশের কড়া নজরদারির মধ্যে আস্তে আস্তে ছন্দে ফিরছে পাঁচলা সহ বিস্তীর্ন এলাকা। যদিও এখনও থম থমে ধূলাগড় সহ পার্শবর্তী এলাকা। রাস্তাঘাট কার্যত শুনসান।
হাওড়ার একাংশে ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় শনিবারই হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার সি সুধাকর এবং হাওড়া গ্রামীনের এসপি সৌম্য রায়কে সরিয়ে দিয়েছে নবান্ন। শনিবার সন্ধ্যে থেকে সিটি পুলিশের কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি। কড়া হাতে আইনসৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছেন হাওড়া গ্রামীনের নতুন এসপি স্বাতী ভাঙ্গালিয়াও। সব মিলিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে দু’দিন হাওড়ার একাংশে যে তান্ডবের চিত্র ছিল, সোমবার থেকে তা উধাও।
উল্লেখ্য পয়গম্বরকে নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের নামে হাওড়ার একাংশে কার্যত তান্ডব চালায় একদল। বৃহস্পতিবার রোড অবরোধ শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকেই উলুবেড়িয়া, পাঁচলা, ধূলাগড়, অংকুরহাটি সহ কিছু জায়গায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্যোসাল মিডিয়া ভরে যায় উস্কানিমূলক পোস্ট, বিতর্কিত অডিও, ভিডিও-তে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১০ জুন রাত থেকে হাওড়ার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন।
Comments are closed.