দেশজুড়ে তীব্র আর্থিক মন্দা। প্রতিটি সেক্টরই সেই মন্দার প্রভাবে ধুঁকছে। নতুন বছরে ছবিটা কি একটু অন্যরকম হবে? এক সমীক্ষা বলছে, ২০২০ সালে ৭ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। গড়ে প্রায় ৮ শতাংশ বেতন বাড়তে পারে কর্মীদের। যা গত দু’বছরের তুলনায় চমকপ্রদ।
MyHiringClub.com & Sarkari-Naukri.info Employment Trend Survey (এমএসইটিএস) তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানাচ্ছে, নতুন বছরে দেশের প্রায় সব বড় বেসরকারি সংস্থাই নতুন কর্মসংস্থান তৈরির ব্যাপারে আশাবাদী। এমএসইটিএস-এর সিইও রাজেশ কুমার জানান, তাঁদের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৭ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এই কর্মসংস্থানে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির অগ্রগণ্য ভূমিকা থাকবে।
দেশের ৪২ টি শহরের ১২ টি ইন্ডাস্ট্রি সেক্টরের ৪ হাজার ২৭৮ টি সংস্থার উপর এই সমীক্ষা চালায় এমএসইটিএস। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, পুণের মতো শহরে চলতি বছরে ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৯০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বাকি প্রায় দু’লক্ষ ছেলেমেয়ের কাজের সুযোগ রয়েছে ছোট শহরগুলিতে।
এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, মেট্রো শহরগুলির তুলনায় ছোট শহরগুলিতে কাজের সুযোগ বাড়ছে। কারণ, বেশিরভাগ সংস্থা এখন মেট্রো শহরগুলিতে তাদের অফিস না করে বড় শহর লাগোয়া অঞ্চল বা ছোট শহরে অফিস, ফ্যাক্টরি তৈরি করছে।
এই সাত লক্ষ কর্মীর মধ্যে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও নতুন প্রযুক্তিতে সড়গড় চাকরি প্রার্থীর চাহিদা অগ্রাধিকার পাবে বলে জানাচ্ছে এমএসইটিএসের রিপোর্ট।
২০২০ সালে রিটেল ও ই-কমার্স সেক্টর প্রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার, তথ্যপ্রযুক্তি ও কল সেন্টারে আনুমানিক ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫৫০ জনের কর্মসংস্থান হবে বলে সমীক্ষায় প্রকাশ। এছাড়া এফএমসিজি সেক্টরে ৮৭ হাজার ৫০০, উৎপাদন শিল্পে ৬৮ হাজার ৯০০, বিএফএসআই-তে প্রায় ৬০ হাজার এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ৯৮ হাজার ৩০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, নতুন বছরে এই বেসরকারি সংস্থাগুলিতে গড় বেতন বাড়বে ৮ শতাংশ হারে।
দক্ষিণের রাজ্যগুলি কর্মসংস্থান তৈরিতে এ বছরও এগিয়ে থাকবে। শুধু দক্ষিণ ভারতেই ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৪০০ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে প্রায় ৬.২ লক্ষ ছেলে-মেয়ের চাকরি হবে বলে সমীক্ষা প্রকাশ করেছিল এই এমএসইটিএস। যেখানে চাকরি হয় ৫.৯ লক্ষের। এবারও তাদের সমীক্ষার খুব একটা পার্থক্য থাকবে না বলে জানান সংস্থার সিইও রাজেশ কুমার।
Comments are closed.