নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে যখন মুখর হয়েছে অসম, ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল, তখন সমস্ত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেশের অখণ্ডতার পরিপন্থী কোনও খবর সম্প্রচার বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশিকা দিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (I&B Advisory)। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি ট্যুইটে লেখেন, আমি অসমের প্রত্যেক ভাই-বোনকে আশ্বস্ত করছি, কেউ তাঁদের অধিকার, পরিচয় কেড়ে নিতে পারবেন না। উল্লেখ্য, গত ক’দিনের মধ্যে এই বিল পাশ ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন মোদী। যদিও তাতে মোদী সরকারের নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রশমনের কোনও লক্ষণ নেই অসম, ত্রিপুরা সহ তামাম উত্তর-পূর্বাঞ্চলে।
বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের পর থেকেই অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে প্রতিবাদ, আন্দোলন চরমে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সমস্ত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের উদ্দেশে কেন্দ্রের বার্তা (I&B Advisory), এমন কোনও খবর, তথ্য বা ছবি পরিবেশন ও সম্প্রচার করা যাবে না, যা হিংসার উদ্রেক করে অথবা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমস্যা তৈরি হয়। টিভি চ্যানেলগুলির উদ্দেশে আরও বার্তা, জাতীয়তা বিরোধী অথবা দেশের অখণ্ডতা বিরোধী কোনও খবর বা ছবি সম্প্রচার করা যাবে না।
অসম ও ত্রিপুরা কার্যত জ্বলছে। দুই রাজ্যেই বুধবার আধা সেনা নামানো হয়েছে। অসমের গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ে জারি হয়েছে কার্ফু। একাধিক এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে গুয়াহাটি শহরের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের রাস্তায় একের পর এক সরকারি বাস, পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে আন্দোলনকারীরা। বড় বড় গাছের গুঁড়ি ফেলে আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বুধবার রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের ডিব্রুগড়ের বাসভবনে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন অসমের একাধিক বিজেপি নেতা-মন্ত্রী। কার্ফু জারি সত্ত্বেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত। একই অবস্থা ত্রিপুরাতেও।
বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের পর থেকেই অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে প্রতিবাদ, আন্দোলন চরমে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সমস্ত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের উদ্দেশে কেন্দ্রের বার্তা (I&B Advisory), এমন কোনও খবর, তথ্য বা ছবি পরিবেশন ও সম্প্রচার করা যাবে না, যা হিংসার উদ্রেক করে অথবা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমস্যা তৈরি হয়। টিভি চ্যানেলগুলির উদ্দেশে আরও বার্তা, জাতীয়তা বিরোধী অথবা দেশের অখণ্ডতা বিরোধী কোনও খবর বা ছবি সম্প্রচার করা যাবে না।
অসম ও ত্রিপুরা কার্যত জ্বলছে। দুই রাজ্যেই বুধবার আধা সেনা নামানো হয়েছে। অসমের গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ে জারি হয়েছে কার্ফু। একাধিক এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে গুয়াহাটি শহরের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের রাস্তায় একের পর এক সরকারি বাস, পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে আন্দোলনকারীরা। বড় বড় গাছের গুঁড়ি ফেলে আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বুধবার রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের ডিব্রুগড়ের বাসভবনে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন অসমের একাধিক বিজেপি নেতা-মন্ত্রী। কার্ফু জারি সত্ত্বেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত। একই অবস্থা ত্রিপুরাতেও।
Comments are closed.