অর্থনৈতিক দুরবস্থা অব্যাহত ভারতীয় রেলে। তিন ত্রৈমাসিক ধরে পর্যায়ক্রমে যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে আয় কমছে রেলের। রাজস্ব লাভের বড় ভরসা মালবাহী ট্রেন, এমনই তথ্য উঠে এল এক আরটিআই- এ।
যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে ১০০ টাকা রাজস্ব রোজগার করতে গড়ে প্রায় ১০০ টাকাই খরচ হয় রেলের। চলতি আর্থিক বছরেও সেই হাঁড়ির হালই বজায় আছে। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে রেলের রোজগার গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৪০০ কোটি টাকা কম। আবার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের রোজগার প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা কম হয় বলে এক আরটিআই সূত্রে খবর।
মধ্যপ্রদেশের তথ্যের অধিকার আন্দোলনের কর্মী চন্দ্রশেখর গৌড় জানতে চেয়েছিলেন, ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় রেলের রাজস্ব আয়।
সম্প্রতি এর উত্তরে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে রোজগার হয় ১৩,৩৯৮.৯২ কোটি টাকা। কিন্তু দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই আয় গিয়ে দাঁড়ায় ১৩,২৪৩.৮১ কোটি টাকায় এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর অর্থাৎ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তা কমে হয় ১২,৮৪৪.৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক ত্রৈমাসিকের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে রেলের আয় কমেছে ৩৯৯.৪৩ কোটি টাকা।
তবে আরটিআই থেকে জানা গিয়েছে, মালবাহী ট্রেন থেকে রেলের আয় ঊর্ধ্বমুখী। শুধু মাল বহন করে চলতি আর্থিক মাসের প্রথম ত্রৈমাসিকে রেলের রাজস্ব উঠে আসে ২৯,০৬৬.৯২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তা কিছুটা কমে ২৫,১৬৫.১৩ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। তবে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ফের আয় বাড়ে রেলের। আরটিআই-য়ে প্রকাশ, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে মোট ২৮,০৩২.৮০ কোটি টাকা রোজগার হয়েছে মালবাহী ট্রেন থেকে।
মালবাহী ট্রেনের লাভের উপর ভিত্তি করেই আপাতত খুশি থাকতে হচ্ছে রেলকে। যদিও রেলের তরফে জানানো হচ্ছে, মালবাহী ট্রেনের পাশাপাশি যাত্রীবাহী ট্রেন থেকেও রাজস্ব তুলতে যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন স্কিম অফার আনা হয়েছে। বিভিন্ন ট্রেনের এসি চেয়ার কারের টিকিটে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।জ্বালানি খরচ বাঁচাতে ৩০ বছরের বেশি পুরনো ডিজেল ইঞ্জিন চালিত ট্রেনগুলিকে সরিয়ে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.