চলতি আর্থিক বছর শেষের আগেই বাড়তে পারে ট্রেনের ভাড়া। বৃহস্পতিবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব। অপেক্ষা কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সঙ্কেতের।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানান, রেলের ভাড়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে পণ্যবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর আপাতত কোনও পরিকল্পনা নেই। তাঁর কথায়, পণ্যবাহী ট্রেনের ভাড়া এখন অনেকটাই বেশি। শুধুমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা চলছে।
ভারতীয় রেলওয়ে সূত্রে খবর, মোট তিনটি জায়গায় যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে। প্রথমত, দূরপাল্লার ট্রেনের বাতানুকূল কামরায়। দ্বিতীয়ত, দূরপাল্লার ট্রেনের স্লিপার ক্লাসে এবং তৃতীয়, লোকাল ট্রেনে। তবে কত বাড়বে বা ঠিক কবে থেকে নয়া ট্রেন ভাড়া চালু হচ্ছে তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি ভি কে যাদব। তাঁর কথায়, যেহেতু এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। তাই এ নিয়ে এখনই বিশদে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু এই বিষয়ে আলোচনা জারি রয়েছে।
অন্যদিকে রেল বোর্ডের মুখপাত্র আর ডি বাজপেয়ী জানিয়েছেন, রেলের ভাড়া সামঞ্জস্যপূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে শুধুই ভাড়া বৃদ্ধি করে তা করা হবে। ক্ষেত্র বিশেষে কমতেও পারে ভাড়া। সূত্রের খবর, রেলে সাম্প্রতিক মন্দার জেরে এই ঘাটতি মেটাতে ভাড়া বৃদ্ধি করতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করে ভারতীয় রেল।
সেই সুপারিশ মেনে প্রায় ১০ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে ১৪.২ শতাংশ হারে যাত্রীবাহী ট্রেন ও ৬.৬ শতাংশ হারে পণ্যবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেল। ‘ডায়নামিক ফেয়ার’ নীতি মেনে এর আগে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে, তাতে তিনি সিলমোহর দেননি। বর্তমানে ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারটি পীযূষ গোয়েলের সিদ্ধান্তের উপর সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ভর করছে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরের শেষে প্রায় ২০ হাজার কোটি ঘাটতি হবে রেলের। কিন্তু, সামান্য হারে যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।
Comments are closed.