আরজি করের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে পড়ুয়াদের আন্দোলন তুলে নেওয়ারও অনুরোধ করেন বিচারপতিরা।
আরজি কর হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এদিন পড়ুয়াদের তরফে একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল আদালত কক্ষে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ পড়ুয়াদের সমস্ত অভিযোগ শোনেন। তারপর তাঁদের বলেন, পড়ুয়াদের আন্দোলনের অধিকার খর্ব করছে না আদালত।
সেই সঙ্গে বিচারপতিরা বলেন, যেহেতু বিষয়টির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে, তাই আন্দোলনকারীরা এমন কিছু না করেন যাতে হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। হাসপাতাল চত্বরের শান্তি বজায় রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে দুই বিচারপতি বারবার পড়ুয়াদের অনুরোধ করেন যাতে তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেয়। যেহেতু স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন, ততদিন পর্যন্ত যাতে পড়ুয়ারা আন্দোলন না করেন । এমনকী আদালতের রীতি ভেঙে পড়ুয়াদের বিচারপতি বলেন, তাঁরা বাকি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেও আদালতকে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন।
আদালতের নির্দেশ মেনে কাজে যোগ দেবে বলে জানান আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। সেই সঙ্গে আগামী ২৯ তারিখ তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ততদিন তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন, বলেও জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য ২৯ তারিখ স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এদিন পড়ুয়াদের তরফ থেকে ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করবে বলে খবর।
Comments are closed.