চিন-ভারত দ্বন্দ্বের মধ্যে ভারতের জন্য বড় খবর। iPhone SE (২০২০ সংস্করণ) এর উৎপাদন চিন থেকে সরিয়ে ভারতে আনতে পারে অ্যাপল।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অ্যাপল চিন থেকে অন্তত তাদের একটি সরবরাহকারী চেনকে ভারতে নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করছে। সেক্ষেত্রে এ দেশে আইফোন ক্রেতারা আরও কম দামে পেতে পারেন আইফোনের নির্দিষ্ট কিছু মডেল।
প্রসঙ্গত, ওয়ানপ্লাস ৮ সিরিজের লঞ্চের একদিন পরেই অ্যাপলের বাজেট-ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন আইফোন এসই (২০২০ সংস্করণ) গত এপ্রিল মাসে লঞ্চ হয়। বর্তমানে, আইফোন এসই এর দাম ভারতে ৪২ হাজার ৫০০ টাকা।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট স্মার্টফোনটির বিভিন্ন উপাদান ভারতে তৈরির জন্য অ্যাপলের এ দেশের পার্টনার উইস্ট্রনকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অবশ্য, এই উইস্ট্রন আগেও আইফোন এসই-এর প্রথম সংস্করণ ভারতে উৎপাদন করেছিল। কিন্তু গত বছরের জুলাইয়ে আইফোনের অন্যান্য মডেল যেমন, আইফোন ৬, আইফোন ৬ প্লাস এবং আইফোন ৬ এস প্লাসের সঙ্গে আইফোন এসই-র আগের সংস্করণের ভারতীয় বাজারে বন্ধ করে দেয়।
দীর্ঘদিন ধরে অ্যাপল তার উৎপাদন প্রক্রিয়া চিন থেকে ভারতে স্থানান্তরিত করার ব্যপারে উদ্যোগ নিচ্ছিল। সেই প্রচেষ্টার অঙ্গ হিসেবে ২০১৬ সালে এ দেশে সফর সেরে গিয়েছেন অ্যাপেল সিইও টিম কুক। এই প্রচেষ্টার প্রাথমিক লক্ষ্য হল বিভিন্ন আঞ্চলিক বাজারে অ্যাপলের উৎপাদনের গতি প্রশস্ত করা। সেই হিসেবে আইফোন এসই মডেলটি ভারতে সাফল্যও পেয়েছে। ভারতে উৎপাদনের সময় অ্যাপলের অপেক্ষাকৃত কম দামী এই আইফোনের আমদানি শুল্ক অনেকটাই কম ছিল। ভারতীয় বাজারে আইফোন এসই ‘হিট’ হওয়ার পিছনে এটা একটা বড় কারণ বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে অ্যাপল ইন্ডিয়া প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে। এই প্রেক্ষিতেই আইফোন এসই মডেলের ২০২০ সালের সংস্করণটি ভারত থেকে উৎপাদনের ব্যাপারে প্রবল উৎসাহী ক্যালিফোর্নিয়ার টেক জায়ান্ট অ্যাপল।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এ নিয়ে জানান, আমরা আশা করছি, ভারতে অন্তত ৪০ বিলিয়ন ডলারের স্মার্ট ফোন উৎপাদন করবে অ্যাপল। এবং তার বেশিরভাগ উইস্ট্রন এবং ফক্সকন সংস্থার মাধ্যমে রফতানির জন্য উৎপাদিত হবে। সেক্ষেত্রে প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ (PLE) স্কিমের সুবিধাও পাবে অ্যাপল। এর ফলে ভারতের বৃহত্তম রফতানকারী হিসেবে কাজ করতে পারে তারা।
গত কয়েক মাসে যেভাবে অ্যাপলের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে ভারত সরকারের আলোচনা চলছে, তাতে সেই সম্ভাবনা বাড়ছে বলেই খবর।
Comments are closed.