দেশের প্রথম বেসরকারি ট্রেন হিসেবে গত বছরই দৌড় শুরু করেছিল লখনউ-দিল্লি তেজস এক্সপ্রেস। তার কয়েক মাস পরে আহমেদাবাদ-মুম্বই রুটে আরও একটি বেসরকারি ট্রেন চালু হয়েছিল।
এদিকে দেশজোড়া লকডাউনের জেরে গত মার্চে অন্যান্য ট্রেনের সঙ্গেই বন্ধ হয়েছিল এই দুই লাক্সারি ট্রেনের যাত্রা। ৭ মাস পর গত ১৭ অক্টোবর থেকে তেজসের চাকা গড়ালেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম। তাই একমাস যেতে না যেতেই তেজস এক্সপ্রেসের যাত্রা ফের বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল আইআরসিটিসি।
দেশের মধ্যে দুটি রুটে চলে তেজস৷ একটি দিল্লি-লখনউ এবং অপরটি আহমেদাবাদ-মুম্বই রুটে৷ এই দুটি রুটে তেজসের যাত্রা সাময়িক বন্ধ হতে চলেছে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে আইআরসিটিসি। জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে ৭৩৬ আসন বিশিষ্ট এই ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা একধাক্কায় অনেক কমে গিয়েছে৷ মাত্র ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালিয়ে লাভ হচ্ছে না৷ বিপুল আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ছে আইআরসিটিসি৷ কারণ, যাত্রী না হওয়ায় লিজ বাবদ নির্ধারিত চার্জ তাদের দিতেই হচ্ছিল রেলকে৷ এদিকে টিকিট বিক্রি কমে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখছে আইআরসিটিসি৷ তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য তেজসের যাত্রা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা৷ জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ নভেম্বর বন্ধ হবে তেজসের দিল্লি-লখনউ রুটের যাত্রা৷ তার পরেরদিন অর্থাৎ, ২৪ নভেম্বর থেকে আহমেদাবাদ-মুম্বই রুটের তেজস এক্সপ্রেসও বন্ধ৷
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তেজস চালানোর বরাত পায় আইআরসিটিসি৷ ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর লখনউ-দিল্লি রুটে শুরু হয় দেশের প্রথম বেসরকারি ট্রেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হয় আহমেদাবাদ-মুম্বই তেজস এক্সপ্রেসের যাত্রা। এই দুটি রুট ছাড়া ইন্দোর ও বারাণসীর মধ্যে তেজস চালানোর পরিকল্পনা ছিল আইআরসিটিসির৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই পরিকল্পনাও বিশ বাঁও জলে৷
Comments are closed.