ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবকে মিথ্যে ঘটনায় ফাঁসানোর অভিযোগ কেরলের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে, দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়
কেরলে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ায় বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবকে (Irfan Habib) দায়ী করলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।
ট্যুইটারে ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেরলের রাজ্যপাল লেখেন, বিরুদ্ধ মতের প্রতি এ ধরনের অসহিষ্ণুতা অগণতান্ত্রিক। ট্যুইটে তিনি কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার ইরফান হাবিবের (Irfan Habib) ভাষণ দেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করেন।
গত শনিবার কেরলের কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেসের (আইএইচসি) সভায় কেরলের রাজ্যপাল নাগরিকত্ব আইন ও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মৌলানা আজাদ বলেছিলেন, দেশভাগের ফলে অনেক নোংরা ধুয়ে গিয়েছে। তবে পিছনে কিছু গর্ত থেকে গিয়েছে…। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবরা। রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, তাঁর ভাষণে বাধা দিতে নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন হাবিব। পাশাপাশি মৌলানা আজাদ বা গান্ধীজিকে উদ্ধৃত করার চেয়ে গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে উদ্ধৃত করার পরামর্শ দেন ক্ষুব্ধ ইতিহাসবিদ। যদিও এরপরেও নিজের মতামত রাখেন রাজ্যপাল এবং তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, মৌলানা আজাদ কি আপনার নিজস্ব সম্পত্তি? উনি আমাদের সবার। এরপর প্রবল বিক্ষোভের মুখোমুখি হন নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনকারী কেরলের রাজ্যপাল।
যা নিয়ে ট্যুইটে তাঁর অভিযোগ, শুধু তাঁর বক্তব্যে বাধাদানই নয়, ইতিহাসবিদ হাবিবরা তাঁর দেহরক্ষীকেও ধাক্কা দেন। তিনি লেখেন, এ ভাবে আমার মুখ বন্ধ করা যাবে না। যদি আমি ওঁদের বক্তব্য শান্তিপূর্ণভাবে শোনার ক্ষমতা রাখি, সেই ধৈর্য তাঁদেরও থাকা উচিত। আরিফ মহম্মদ আরও লেখেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ইরফান হাবিব তাঁর কথা বলেছেন, কিন্তু আমি আমার মতামত জানাতে যেতেই তিনি ‘শারীরিকভাবে আমাকে বাধা দেন’ এবং তা ভিডিয়ো থেকেই স্পষ্ট।
এদিকে ওই সভায় উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের অভিযোগ, অনভিপ্রেতভাবে নিজের বক্তব্যে মৌলানা আজাদকে উদ্ধৃত করেন কেরলের রাজ্যপাল। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক অধ্যাপক শিরিন মুসভি, যিনিও ওই সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন, অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল অযৌক্তিক কথাবার্তা বলছিলেন। হাবিব শুধু সে সব বলতে বারণ করেন। কোনও ধাক্কাধাক্কি করেননি তিনি।
কেরলের সিপিএম নেতৃত্বের কটাক্ষ, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ আরএসএসের মুখপাত্রের মতো কথা বলছেন। কেরলের সিপিএম সাংসদ কে কে রাগেশ পাল্টা এক ট্যুইট করে বলেন, ভিডিয়ো থেকে পরিষ্কার ইতিহাসবিদ হাবিব কোনও শারীরিক আক্রমণ করেননি।
ট্যুইটারে ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেরলের রাজ্যপাল লেখেন, বিরুদ্ধ মতের প্রতি এ ধরনের অসহিষ্ণুতা অগণতান্ত্রিক। ট্যুইটে তিনি কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার ইরফান হাবিবের (Irfan Habib) ভাষণ দেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করেন।
গত শনিবার কেরলের কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেসের (আইএইচসি) সভায় কেরলের রাজ্যপাল নাগরিকত্ব আইন ও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মৌলানা আজাদ বলেছিলেন, দেশভাগের ফলে অনেক নোংরা ধুয়ে গিয়েছে। তবে পিছনে কিছু গর্ত থেকে গিয়েছে…। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবরা। রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, তাঁর ভাষণে বাধা দিতে নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন হাবিব। পাশাপাশি মৌলানা আজাদ বা গান্ধীজিকে উদ্ধৃত করার চেয়ে গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে উদ্ধৃত করার পরামর্শ দেন ক্ষুব্ধ ইতিহাসবিদ। যদিও এরপরেও নিজের মতামত রাখেন রাজ্যপাল এবং তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, মৌলানা আজাদ কি আপনার নিজস্ব সম্পত্তি? উনি আমাদের সবার। এরপর প্রবল বিক্ষোভের মুখোমুখি হন নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনকারী কেরলের রাজ্যপাল।
যা নিয়ে ট্যুইটে তাঁর অভিযোগ, শুধু তাঁর বক্তব্যে বাধাদানই নয়, ইতিহাসবিদ হাবিবরা তাঁর দেহরক্ষীকেও ধাক্কা দেন। তিনি লেখেন, এ ভাবে আমার মুখ বন্ধ করা যাবে না। যদি আমি ওঁদের বক্তব্য শান্তিপূর্ণভাবে শোনার ক্ষমতা রাখি, সেই ধৈর্য তাঁদেরও থাকা উচিত। আরিফ মহম্মদ আরও লেখেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ইরফান হাবিব তাঁর কথা বলেছেন, কিন্তু আমি আমার মতামত জানাতে যেতেই তিনি ‘শারীরিকভাবে আমাকে বাধা দেন’ এবং তা ভিডিয়ো থেকেই স্পষ্ট।
এদিকে ওই সভায় উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের অভিযোগ, অনভিপ্রেতভাবে নিজের বক্তব্যে মৌলানা আজাদকে উদ্ধৃত করেন কেরলের রাজ্যপাল। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক অধ্যাপক শিরিন মুসভি, যিনিও ওই সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন, অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল অযৌক্তিক কথাবার্তা বলছিলেন। হাবিব শুধু সে সব বলতে বারণ করেন। কোনও ধাক্কাধাক্কি করেননি তিনি।
কেরলের সিপিএম নেতৃত্বের কটাক্ষ, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ আরএসএসের মুখপাত্রের মতো কথা বলছেন। কেরলের সিপিএম সাংসদ কে কে রাগেশ পাল্টা এক ট্যুইট করে বলেন, ভিডিয়ো থেকে পরিষ্কার ইতিহাসবিদ হাবিব কোনও শারীরিক আক্রমণ করেননি।
Comments are closed.