কসবার ভুয়ো টিকাকরণকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে অভিহিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, সরকার এই সব বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত নয়। পুলিশ প্রতারকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভুয়ো টিকা কাণ্ড বিজেপির সাজানো হতে পারে বলে জানান। পাশাপাশি কেন্দ্রের টিকা বণ্টন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভুয়ো টিকাকাণ্ডের নায়ক দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এমন কী দিল্লির বিজেপি নেতারাও একে ইস্যু করে মমতা ব্যানার্জির সরকারকে আক্রমণ শানাচ্ছে। এই অবস্থায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, প্রতারকরা সবসময় নামী মানুষের সঙ্গে ছবি তুলে রেখে দেয়। বিপদে পড়লে সেটা তুলে ধরে। তার মানে এই নয় যে যার সঙ্গে প্রতারকের ছবি আছে, সেও প্রতারণায় যুক্ত, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি দেখিয়ে কিছু প্রমাণ করা যায় না। এই প্রসঙ্গে নিজের সঙ্গে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মমতা। বলেন, একবার প্লেনে আমি সামনের সাইট বসে আছি। আমি দেখলাম ২০ নম্বর সারি থেকে একজন জুম করে আমার ছবি তুলছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কসবায় ভুয়ো টিকাকরণ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। রাজ্য সরকারের কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশ কড়া হাতে পদক্ষেপ করছে। জাল টিকা কাণ্ডের নেপথ্যে বিজেপি নেতাদের হাত নেই তা কী নিশ্চিত? বলেন মমতা ব্যানার্জি। বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, গুজরাতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে কী করে টিকা বিলি করা যায়?
মঙ্গলবার বিজেপির সভায় জে পি নাড্ডা দাবি করেছিলেন, দেশে টিকাকরণের হার বাংলায় সবচেয়ে কম। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, কোণ তথ্যের ভিত্তিতে এমন দাবি করলেন নাড্ডা? বুধবার নবান্ন থেকে নাড্ডার নাম না করে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন মমতা। তথ্য-পরিসংখ্যান পেশ করে বোঝানোর চেষ্টা করেন বাংলায় টিকাকরণের হার দেশে সেরাদের সঙ্গে তুলনীয়। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কেন্দ্র টিকা না পাঠানোয় এখন কেবলমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ চলছে। মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমরাই একমাত্র ৫৯ কোটি টাকা খরচ করে ১৮ লক্ষ টিকা কিনে তা মানুষকে দিয়েছি।
Comments are closed.