নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবিত না প্রয়াত? আগামী দু’মাসের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে সোমবার এমনটা নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
হরেন বাগচী নামে এক ব্যক্তি নেতাজি সম্মর্কে জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলাকারী বলেন, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশের সরকার, সবাই নেতাজিকে যে যার স্বার্থে ব্যবহার করে চলেছেন। অথচ, সুভাষচন্দ্র বসুর শেষ পর্যন্ত কী হল, তা আমরা কেউ জানি না। উনি জীবিত না মৃত, সে তথ্যই কেন্দ্র প্রকাশ করছে না। এখানেই থামেননি তিনি। নেতাজিকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার কতগুলি ফাইল প্রকাশ করছে, বা কতগুলি ফাইল এখনও অপ্রকাশিত তাও নিজের আবেদনে জানতে চেয়েছেন মামলাকারী হরেন।
সেই সঙ্গে দেশে টাকায় গান্ধীজির ছবির মতো সুভাষচন্দ্র বসুর ছবিও ব্যবহার করা যায় কিনা, তা নিয়েও কেন্দ্রের মতামত জানাতে চেয়েছেন তিনি। এদিন আবেদনকারীর দাবি মেনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, আগামী দু’মাসের মধ্যে সরকারকে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে নেতাজি জীবিত না মৃত। পাশাপাশি ভারতীয় টাকায় নেতাজির ছবি ব্যবহার করা যায় কিনা, তাও কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
Comments are closed.