বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য উল্লেখ করে জামাকায় জাতীয় পরিচয় পত্রকে অসাংবিধানিক বলল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট

আধার কার্ড ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের দেশে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ‘এনআইডিএস’কে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করল জামাইকার শীর্ষ আদালত।
আধার কার্ডকে নাগরিক প্রমাণ পত্র করার পক্ষপাতী ছিলেন না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। আধার অ্যাক্ট সাংবিধানিকভাবে বৈধ কিনা এই সংক্রান্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মত ছিল, সাংবিধানিক অধিকারকে প্রযুক্তির মাধ্যমে লাগু করা যায় না। তিনি আধারকে অসাংবিধানিক বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এমনকী আধার অ্যাক্টকে ‘মানি বিল’ হিসেবে পাশ করানোকে ‘ফ্রড অন দ্য কনস্টিটিউশন’ বলেও অভিযোগ করেছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
জামাইকার সুপ্রিম কোর্ট তাদের দেশে বায়োমেট্রিক উপায়ে নাগরিক পরিচয়পত্র লাগু করার জন্য বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্যকে তুলে ধরে।
জামাইকায় সাধারণ মানুষের জন্য জাতীয় পরিচয় হিসেবে আধার কার্ডের মতোই ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এনআইডিএস) চালু করার কথা ভাবা হয়। জামাইকায় ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ২০১৭ সালে পাশ হলেও, এখনও এনাইডিএস চালু করা হয়নি।
সম্প্রতি এই সংক্রান্ত মামলায় জামাইকার শীর্ষ আদালত বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে নাগরিক পরিচয়পত্র তৈরিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছে। এছাড়া ‘এনআইডিএস’কে অপ্রয়োগযোগ্য হিসেবে দেখছে তারা।
জামাইকার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ব্রায়ান সাইকস আধার ইস্যুতে ভারতের বিচারপতির মন্তব্যকে উদ্ধৃত করেন।
কিন্তু জামাইকার শীর্ষ আদালতের কাছে কেন বায়োমেট্রিক উপায়ে পরিচয়পত্রকে অসাংবিধানিক বলা হচ্ছে?
তাঁদের মতে, বায়োগ্রাফিকাল ও বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া মানুষের গোপনীয়তার অধিকারে হস্তক্ষেপ করে। কোনও থার্ড পার্টির মাধ্যমে সহজেই একজনের ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কেউ হাতিয়ে নিতে পারে। দেশের সাধারণ মানুষ যখন বিভিন্ন সরকারি না বেসরকারি পরিষেবার কাজে আধার কার্ডের মতো পরিচয়পত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, তখন কোনও বিদেশি বা অনাবাসীকে এই পরিচয়পত্র ছাড়াই সুবিধা দিতে হবে। সুতরাং, সেক্ষেত্রে অসাম্য তৈরি হবে।

Comments are closed.