দিল্লিতে রিট পিটিশন দাখিল করা এখন এক নতুন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের করা মামলার প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য দিল্লি হাইকোর্টের।
নয়া নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে আন্দোলনের আঁচে উত্তপ্ত দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর পড়ুয়াদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। এর জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন জামিয়ার জখম এক পড়ুয়া। মঙ্গলবার সেই মামলায় কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, রিট পিটিশন দাখিল করা এখন নতুন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজধানীতে।
দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল ও বিচারপতি হরি শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চে ওই পড়ুয়া জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে তিনি পড়াশোনা করছিলেন। বিনা প্ররোচনায় দিল্লি পুলিশের অতর্কিত হানায় তাঁর দুটি পা বিপজ্জনকভাবে জখম হয়। তাঁর দাবি, দু’পায়ের চিকিৎসায় এখনও পর্যন্ত আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয় হয়ে গিয়েছে। তবু পুরোপুরি সেরে উঠবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এই কারণে রিট পিটিশন করে দু’কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন জামিয়ার ছাত্রটি। কিন্তু দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে কেন মামলা না করে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপরেই দিল্লি আদালতের ওই মন্তব্য।
প্রসঙ্গত, কেউ মৌলিক অধিকার খর্বের অভিযোগে সংবিধানের ২২৬ ধারায় দেশের যে কোনও হাইকোর্টে কিংবা ৩২ ধারায় সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করতে পারেন। কিন্তু আহত ছাত্র কেন নিম্ন আদালতে মামলা না করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন তা নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন তোলে দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানায়, ২২৬ ধারায় রিট পিটিশন দাখিল করা হয় ‘বিশেষ বিচারের’ জন্য। জখম ছাত্রকে সিআরপিসির ১৫৬ ধারায় এফআইআর দায়ের করার পরামর্শ দিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে আগামী ২৭ মে।
Comments are closed.