কর্মীদের উপর ব্যয়ে রাশ টানছে ভারতের বিখ্যাত স্টার্টআপ সংস্থাগুলি, চলছে দেদার ছাঁটাই

সাম্প্রতিক আর্থিক পরিস্থিতিতে ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটছে ওয়ো, ওলা, পেটিএম, কুইকার, জোমাটোর মতো সংস্থাগুলি। বেহাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে একাধিক স্টার্টআপ সংস্থা নজর দিয়েছে কর্মীদের উপর ব্যয়ভার কমানোর দিকে।
গত ডিসেম্বর মাসে শোনা গিয়েছিল, এ বছরের জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে সংস্থার ব্যয়ভার কমাবে বিখ্যাত অনলাইন হোটেল পরিষেবা সংস্থা ওয়ো। এদিকে ডিজিটাল পেমেন্টস প্লাটফর্মগুলির মধ্যে পেটিএম-ও তাদের ৫ থেকে ৭ শতাংশ কর্মী কমাতে উদ্যোগী হয়েছে বলে খবর।
এই পরিস্থিতিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরেই অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা জোমাটো ৬০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। সংস্থার মোট কর্মীসংখ্যার মধ্যে ১০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয় ওই মাসে। একই রাস্তায় হাঁটছে ই-কমার্স সংস্থা রিভিগো। সংস্থার ৭০ থেকে ১০০ জনকে ইতিমধ্যে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে খবর। গত মাসে কুইকার সংস্থাও ১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। অ্যাপ ক্যাব সংস্থা ওলা তাদের কর্মীদের আর্থিক সুবিধা ২০ শতাংশের মতো ছেঁটে ফেলেছে। শুধু তাই নয় গত কয়েক মাসের মধ্যে সংস্থার ৮ শতাংশ কর্মী কমিয়ে দিয়েছে তারা।
কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক এবং সিঙ্গাপুরেরে রেগুলেটরি অথরিটিজের দেওয়া তথ্যকে উদ্ধৃত করে ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন বলছে, ভারতের ১১ টি তথ্যপ্রযুক্তি ও কর্পোরেট সংস্থার একত্রে ২০১৯ আর্থিক বছরে কর্মীদের উপর খরচ দাঁড়িয়েছে ৮,৮৬৯ কোটি টাকা। যা ২০১৮ আর্থিক বছরে ছিল ৫,০৮৬ কোটি টাকা।
চলতি আর্থিক বছরে ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইগির বেতন বাবদ খরচ তাদের ৪০ শতাংশ রাজস্বের সমান হয়েছে। প্রায় একই পরিস্থিতি অ্যাপ ক্যাব সংস্থা ওলা, ই-কমার্স সংস্থা স্ন্যাপডিল এবং অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম ড্রিম ইলেভেনের।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্ভূত অর্থনৈতিক পরিস্থিতে সব স্টার্টআপ সংস্থাই চাইছে বিচার-বিবেচনা করে খরচ করতে। যার প্রভাব পড়ছে কর্মীদের উপর ব্যয়ে। তাই বেশির ভাগ সংস্থার লক্ষ্য, সংখ্যায় কম অথচ কার্যকরী হবে এমন কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করানো।

Comments are closed.