কৃষকরা মোদীজির সঙ্গে, বর্ধমানে দাবি নাড্ডার, দিল্লিতে কৃষকদের সঙ্গে দেখা না করে ঘুরতে চলে এলেন! পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের
ডাল, ভাত, ভাজা, পায়েস দিয়ে সারলেন মধ্যাহ্নভোজ
দিল্লির সীমানা অবরুদ্ধ করে শেষ ৪৪ দিন ধরে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। এই প্রেক্ষিতে বাংলায় কৃষক সুরক্ষা অভিযান শুরু করল বিজেপি। তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের। বাংলার কৃষকদের মানোন্নয়নই মোদীর লক্ষ্য, কাটোয়ার সভা থেকে পাল্টা বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
শনিবার বেলা ১২ টা নাগাদ নাড্ডার বিমান নামে অন্ডালে। সেখান থেকে রাধা গোবিন্দ মন্দিরে পুজো দিয়ে কাটোয়ার সভা স্থলে পৌঁছন জে পি নাড্ডা। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ পরিবর্তনের জন্য মনস্থির করে ফেলেছেন। মা দুর্গার নামে শপথ করে বলছি, কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যে পরিবর্তন আনবে বিজেপি। জেপি নাড্ডা আরও জানান, ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলায় কৃষক ভোজ চলবে। ওই সময়ের মধ্যে ৪০ হাজার গ্রামসভায় কৃষকদের সংগঠিত করা হবে। তাঁর দাবি বাংলায় ক্ষমতায় এসে কেন্দ্রের কৃষক সম্মান নিধি চালু করবে বিজেপি সরকার। তাঁর দাবি নরেন্দ্র মোদী কৃষি বাজেট ৬ গুণ বাড়িয়েছে।
এদিকে জেপি নাড্ডার কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। কৃষক আন্দোলনে যখন ফুটছে উত্তর ভারত তখন বাংলায় এসে কৃষক দরদী সাজতে চাইছেন নাড্ডা, অভিযোগ তৃণমূলের।
দিল্লিতে নাড্ডাবাবু যেখানে বসেন তার থেকে ৩০ মিনিট দূরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সময় নেই। অথচ বাংলায় ঘুরতে চলে এসেছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এবারের বঙ্গ সফরকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
জেপি নাড্ডা কাটোয়ার সভার পর ৫ জন কৃষকের বাড়ি থেকে এক মুঠো করে চাল সংগ্রহ করেন। সেখানে নলেন গুড়ের রসগোল্লা খেতে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর মথুরা মণ্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন বিজেপি নেতারা। মেনুতে ছিল মিনিকিট চালের ভাত, শাক, বেগুন ও আলু ভাজা, ফুলকপির তরকারি, সবজি দিয়ে ডাল, চাটনি, পায়েস। জেপি নাড্ডার সঙ্গেই দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, লকেট চ্যাটার্জি প্রমুখ খাওয়া দাওয়া করেন।
এদিন কাটোয়ার সভায় একটি বিষয় নজর কেড়েছে পর্যবেক্ষকদের। তাঁরা বলছেন, মঞ্চ থেকে একবারও শোনা যায়নি জয় শ্রী রাম স্লোগান। তার বদলে জেপি নাড্ডার মুখে শোনা গেল দুর্গা-কালির নাম। রাজনৈতিক মহলের মতে, আরও বেশি করে বাঙালির সংস্কৃতির কাছাকাছি আসতেই রাম ছেড়ে দুর্গা-কালীতে মজেছে বিজেপি।
Comments are closed.