আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন গত ৯ অগাস্ট। শুরুর দিকে তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থনই করেছিলেন রাজ্যের বহু মানুষ। এমনকী অনেক রোগীর আত্মীয় ভোগান্তি সত্ত্বেও খোলাখুলি জানিয়েছিলেন এই লড়াইয়ে তাঁরা জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে। কিন্তু কর্মবিরতি দু’সপ্তাহও পেরিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসা পরিষেবা পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা না পাওয়া, দরিদ্র রোগীর মৃত্যু, গরিব মানুষের কান্নায় ফিকে হয়েছে সেই জনসমর্থন।
রাজ্য সরকার, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধকে দূরে ঠেলে মঙ্গলবার ১৮ দিনে পড়েছে কর্মবিরতি। স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, কর্মবিরতির প্রথম ১৫ দিনেই চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অন্তত ৬ লক্ষ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে গত ক’দিনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রাজ্যের বহু মানুষ।
তবে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে পড়তে দেয়নি পরবর্তী স্তরের হাসপাতালগুলিতে প্রায় অক্ষুণ্ণ থাকা পরিষেবা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলা, মহকুমা, গ্রামীণ, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে রোজ আউটডোরে ডাক্তার দেখান গড়ে ১ লক্ষ মানুষ। আন্দোলন সত্ত্বেও এইসব হাসপাতালে ইনডোর, আউটডোরে রোগী কমেছে নামমাত্র।
Comments are closed.