২১ এর ভোটকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা ভিন রাজ্যের নেতাদের দিয়ে বাংলা দখলের ছক কষছেন। তখন বারবার বিজেপিকে বাংলা ও বাঙালি বিরোধী দল হিসেবে প্রচার তুঙ্গে তুলছে তৃণমূল। শনিবার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ফের বিজেপিকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করলেন। বললেন, ৫০ পেরোবে না বিজেপি।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে কাকলির কটাক্ষ, বাইরে থেকে এ রাজ্যে উড়ে আসা নেতাদের দিয়ে কোনও সুবিধা করতে পারবে না বিজেপি। বাংলার বিজেপি নেতাদের উপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আস্থাশীল নয়। তাই বাইরের বিজেপি নেতাদের ‘ইমপোর্ট’ বা আমদানি করে রাজ্যে আনা হচ্ছে বলে ব্যঙ্গ করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি, বাংলার রাজনীতিতে ভিন রাজ্যের নেতাদের মাথায় বসানোকে ভালো চোখে দেখছে না বাঙালি। কিন্তু মমতার বিরুদ্ধে লড়ার মতো বিজেপির কাছে কোনও হেভিওয়েট মুখ নেই। তাই বাইরের রাজ্য থেকে নেতা ভাড়া করে আনা হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। কাকলি ঘোষদস্তিদারের দাবি, বাংলায় বিজেপি ৫০ টা আসনও পাবে না।
এদিন কেন্দ্রের মোদী সরকারের দিকে একাধিক বিষয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি, করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ইস্তফা দেওয়া উচিত। তাঁর দাবি, গত জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রকে সতর্ক করেছিল তৃণমূল। কিন্তু লোকসভায় তাঁদের পাত্তা দেওয়া হয়নি। কিন্তু এরপর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতেই চার ঘণ্টার নোটিসে লকডাউন ঘোষণা করে মোদী সরকার। কাকলির কথায়, কেন্দ্রে একটা মিথ্যাবাদী, পরিকল্পনাহীন, অত্যাচারী সরকার চলছে। মিথ্যাচার ছড়িয়ে সরকার চলছে। মোদী সরকারের আমলে নারী নির্যাতন, দলিত ও সংখ্যালঘুর উপর অত্যাচার সীমাহীনভাবে বেড়ে গিয়েছে। বলেন, ভোটের আগে দলিত বাড়িতে ভোজন করেন বিজেপি নেতারা। ভোট ফুরোলেই দলিত নিধন! বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের সঙ্গে বাংলার আইনশৃঙ্খলা, প্রকল্প ও নীতির তুলনা টেনে তাঁর দাবি, অস্বস্তি লুকোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিজেপি।
Comments are closed.