কালী পুজোর রাতে বায়ু দূষণের সূচকে দিল্লি (৪৩৫), লখনউ (৩৭২), গুরুগ্রাম (৪২৫), গ্রেটার নয়ডার (৪১৭) থেকে অনেক ভালো অবস্থায় ছিল কলকাতা (১৮৭)! করোনা আবহে দূষণ রুখতে পেরে স্বভাবতই খুশি রাজ্য প্রশাসন। বিশেষতঃ রাজ্য রাজধানীতে বাজি ফাটানো নিয়ন্ত্রণ করতে পেরে এবার কালী পুজোয় বায়ু দূষণ মাত্রা রেকর্ড ভাবে কমিয়ে দিতে পেরেছে প্রশাসন।
দিল্লি সহ দূষণ তালিকায় উপরের দিকে থাকা শহরগুলির অধিকাংশ যখন গত চারদিনের নিরিখে ‘খারাপ’, ‘খুব খারাপ’, ‘বিপজ্জনক’ দূষণ মাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে, তখন কলকাতার বায়ু দূষণের সূচক ছিল মাত্র ১৮৭। তবে জেলাভিত্তিক কিছু জায়গায় দূষণ নিয়ন্ত্রণে কিছুটা ব্যর্থ হয়েছে বাংলা। যেমন কালী পুজোর রাতে হাওড়ায় বায়ু দূষণের সূচক ছিল ২১৭। এছাড়া আসানসোল ও শিলিগুড়িতে এই সূচক ছিল যথাক্রমে ১২৯ এবং ১৭১। বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন, বায়ু দূষণের কোনও মাত্রাই বয়স্ক, শিশু অথবা শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য ভালো নয়। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি, অন্যান্য বছর কালী পুজোর সময় দিল্লির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বায়ু দূষণ হয় কলকাতায়। সেই তুলনায় এবার পরিস্থিতি ভালো। তবে হাওড়ার জন্য উদ্বেগ থেকে গিয়েছে। বাজি ফাটানো বাদ রাখলে হাওড়ার ক্ষেত্রে এই দূষণের কী কী কারণ রয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের বিজ্ঞানীরা। সরকারি তথ্য বলছে, গত ১০-১৪ নভেম্বর হাওড়ায় বায়ু দূষণের সূচক ‘মডারেট’ হলেও কালী পুজোর রাতে তা বেড়ে হয় ২১৭।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক শীর্ষকর্তার কথায়, করোনা তো আছেই তার উপর মূল্যবৃদ্ধির ফলে এবার মানুষের বাজি কেনার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তার উপর বাজির উপর আদালত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় প্রশাসনও নড়েচড়ে বসে। ফলে বাজির বাড়বাড়ন্ত নেই।
Comments are closed.