কালীঘাট পোড়া নোট কাণ্ডের যবনিকা পতন, রিকশাওয়ালাকে জেরা করে রহস্যভেদ
আধপোড়া নোটের মধ্যে থেকে অক্ষত নোট খোঁজার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়
২৪ ঘন্টার মধ্যে কালীঘাটের পোড়া নোট রহস্যের সমাধান করলো পুলিশ। কালীঘাট থানার পুলিশ স্থানীয় এক রিকশা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ওই আধপোড়া নোটের বস্তাটি ভবানীপুরের হেশ্যাম রোডের একটি জৈন মন্দিরের। কালীঘাটের মুখার্জি ঘাটে ওই রিকশাচালক ফুল ও অন্যান্য পূজার সামগ্রীর সঙ্গে ওই টাকার বস্তাটিও ভুল করে ফেলে যান। তারপর নোটভর্তি বস্তায় কেউ ধুপ বা জ্বলন্ত সিগারেট ফেলেছিলো, আর তা থেকেই শুকনো নোটে আগুন লেগে যায়।
রবিবার বিকেলে আদি গঙ্গার মুখার্জি ঘাটে আধপোড়া নোটের বস্তা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দেয় এলাকায়। ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ টাকার আধপোড়া নোটের মধ্যে থেকে অক্ষত নোট খোঁজার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে কালীঘাট থানার পুলিশ গিয়ে আধপোড়া নোটের বস্তাটি উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ওই রিকশাচালকের সন্ধান পায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রহস্যের সমাধান করে কালীঘাট থানা।
সূত্রের খবর জৈন মন্দিরের প্রনামীর টাকা বস্তায় ভরে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। মন্দিরের এক কর্মী ভুল করে ওই টাকা ভর্তি বস্তা বাতিল ফুলের বস্তার সঙ্গেই তুলে দেন রিকশায়। গত ২০ বছর ধরে মন্দিরের কাজ করা রাজেন্দ্র সাউ নামে ওই রিকশাচালক অজান্তেই ফুল ভর্তি বস্তার সঙ্গে টাকার বস্তাও ফেলে দেন আদি গঙ্গায়। আর তা থেকেই বিপত্তি।
Comments are closed.