গৃহবধূর কাজ বড় চাকরি, তাঁদের বেতন পাওয়া উচিত, তামিলনাড়ু বিধানসভা ভোটের আগে ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ প্রকাশ করে জানালেন এমএনএম প্রধান কমল হাসান।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে দলের এক সভায় অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ কমল হাসান তামিলনাড়ুর মানুষের কর্মসংস্থান ও রাজ্যের অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, মধ্যপন্থী আদর্শের দল হিসেবে আমারা প্রধানত দুটি প্রধান পরিবর্তন আনব। এক হল ‘তামিলনাড়ু’ কে নতুন করে গড়া এবং দুই, রাজ্য রাজনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এ নিয়ে তাঁর দল মাক্কাল নিধি মাইয়াম (এমএনএম) এর একটি ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ ট্যুইটারে পোস্ট করেন কমল হাসান। সংসারে মহিলাদের ভূমিকাকে বিশেষ সম্মান জানিয়ে তাতে বলা হয়েছে, গৃহবধূরা বাড়ির জন্য যে কাজ করেন, তা এক কথায় বড় চাকরি। সেই তুল্যমূল্য বিচার করে তাঁদের বেতন পাওয়া উচিত। গৃহবধূদের কাজের জন্য বেতন দেওয়ার এটাই প্রকৃত সময় এবং আমরা তা সুনিশ্চিত করব। কমলের দাবি, প্রতিটি তামিল মানুষের সমৃদ্ধি আসবে ‘এন্টারপ্রাইজ ইকনমি’-র মাধ্যমে। এটাই তামিল রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করবে। তামিলনাড়ুর আর্থিক উন্নতি ও কর্মসংস্থান তাঁদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়ে কমল হাসানদের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’-এ লেখা হয়েছে, শিল্পভিত্তিক রাজনীতির মধ্যে কৃষক ও শ্রমিক স্বার্থ যেমন দেখা হবে তেমনি গৃহবধূর কাজও সম্মান পাবে। কৃষক, শ্রমিক, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, মৎস্যজীবী, ছোট ও বড় ব্যবসায়ী- সবার স্বার্থরক্ষাই হবে তাদের উদ্দেশ্য।
কমল হাসানের কথায়, মানবজাতির সবচেয়ে বড় ধারণা হল শিল্প ও কর্মপ্রচেষ্টা। কিন্তু বর্তমানে তামিলনাড়ু সেই শিল্পের রাস্তা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র ভোটস্বার্থ কায়েম করার রাজনীতি তামিলনাড়ুকে পিছিয়ে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জাপান ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশের তুলনা টেনে এমএনএম সভাপতি বলেন, এ দেশে দূরদর্শী নেতার অভাব, যিনি ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। গত কয়েক বছর ধরে যে পথে তামিল রাজ্য চলছে তা ভয়াবহ। মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র টাকা ছড়িয়ে লাভের অঙ্ক গোনা নয়, রাজ্যের মানুষকে আর্থিক নির্ভরতা ও তার লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে দেওয়াই প্রকৃত ক্ষমতায়ন।
Comments are closed.