দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন, এখনও ঘাড়ের উপর ১৫ টি মামলা। কিন্তু তাতে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ‘পুরস্কার’ পাওয়া আটকাল না কর্ণাটকের বিধায়ক আনন্দ সিংহের। অরণ্য আইনে অভিযুক্ত সেই বিধায়ককেই পরিবেশ ও বন দফতরের মন্ত্রীর পদে বসালেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। যা নিয়ে দক্ষিণের রাজ্যটির রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কংগ্রেস ও জেডিএস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দশ বিধায়ককে সোমবার মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নিজেদের দফতর নিয়ে খুশি না হওয়ায় একদিনের মধ্যে তাঁদের মন্ত্রিপদ বদলে দেওয়া হয়। ফলে খাদ্য দফতর থেকে সরিয়ে পরিবেশ ও বন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৯ সালে জেডিএস-কংগ্রেস জোট ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আনন্দ সিংহকে।
একাধিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত এই প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ককে বনমন্ত্রী করায় কর্ণাটকে বিজেপির অন্দরেই অসন্তোষের খবর পাওয়া গিয়েছে। বেলেকেরি পোর্ট থেকে লৌহ আকরিক পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সলে গ্রেফতার হন আনন্দ সিংহ। ২০১৫ সালেও তাঁর বিরুদ্ধে ফের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রায় দেড় লাখ টন লৌহ আকরিক পাচারে অভিযুক্ত আনন্দ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে খালাস হন। গত ডিসেম্বর মাসে কর্ণাটকে উপনির্বাচনে অংশ নেন বিজয়নগরের বিধায়ক আনন্দ সিংহ। নির্বাচনী হলফনামা থেকে দেখা যাচ্ছে, এখনও মোট ১৫ টি মামলা ঝুলে রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং মাইনস অ্যান্ড মিনারেলস (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্টে একাধিক মামলা। কর্ণাটক অরণ্য আইনেও মামলা হয়েছে এই আনন্দ সিংহের বিরুদ্ধে। যে বিধায়কের বিরুদ্ধে অরণ্য আইনে মামলা ঝুলছে তাঁকেই সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী করায় সমালোচনার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। আনন্দকে পরিবেশ ও বন দফতরের মন্ত্রীর পদ দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করা লোকায়ুক্ত এন সন্তোষ হেগড়ের কটাক্ষ, একেই বলে চোর দিয়ে চোর ধরা!
Comments are closed.