আবার বিদেশি প্রতিনিধিদের কাশ্মীর সফরের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সুত্রের খবর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এশিয়া লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিকে কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানকার পরিস্থিতি কেমন আছে, তা দেখাতে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ হওয়ার পর কাশ্মীর যে স্বাভাবিক, তা প্রমাণ করার জন্য গত অক্টোবর মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিশেষ কয়েকজন সদস্যকে কাশ্মীরে নিয়ে গিয়েছিল মোদী সরকার। তা নিয়ে দলের আন্দরে এবং বাইরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে এনডিএ সরকার। তখন বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, যেখানে দেশের কোনও বিরোধী নেতা বা সমাজকর্মীকে কাশ্মীরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে অজুহাত দেখিয়ে, সেখানে বিদেশিদের নিয়ে যাওয়া হয় কী করে? কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, গুলাম নবি আজাদদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা প্রমুখকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ইয়েচুরি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ফল পান। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক দলের গৃহবন্দি রাজ্য সম্পাদক ইউসুফ তারিগামিকে দেখতে যেতে পারবেন। শীর্ষ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষেই ইয়েচুরি উপত্যকায় যেতে পারেন।
অক্টোবরে বিদেশি প্রতিনিধি বাছাই করা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর ব্রাসেলসে। অভিযোগ ছিল, মোট ২৩ জন প্রতিনিধির মধ্যে সকলেই ছিলেন গোঁড়া দক্ষিণপন্থী দলের সদস্য। এবারও বিরোধীরা ফের এই নিয়ে হইচই শুরু করতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। জম্মু কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি এখনও বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁরা কবে ছাড়া পাবেন, সরকার তা পরিষ্কার করে জানাচ্ছে না। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সময় হলেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
Comments are closed.