অতিমারির জের? দুই দশক ধরে চলা কেরলের পেপসি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হল। বেতনের জন্য আন্দোলন শুরু করলেন কয়েকশো কর্মী।
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে কমে গিয়েছে ঠান্ডা পানীয়ের বাজার। কিছুদিন আগেই কোকা-কোলা কোম্পানি ১২৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। ভারত সহ বিভিন্ন দেশে তাদের ইউনিট কমিয়ে আনার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এবার সেই রাস্তাতে হাঁটল কোকা-কোলার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পেপসি।
কেরলের পালাক্কড়ের কাঞ্জিকোড় ইস্টের বরুণ বেভারেজ লিমিটেডে তৈরি হত কার্বোনেটেড ঠান্ডা পানীয়। করোনার প্রভাবে ঠান্ডা পানীয়ের চাহিদা তলানিতে ঠেকায় আচমকা পেপসির এই ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বিপাকে প্রায় ৭০০ কর্মী।
কেরলের পেপসি প্ল্যান্টে কাজ করেন ১১২ জন স্থায়ী কর্মী। এছাড়া ৫০০’র বেশি কর্মী কাজ করেন চুক্তিভিত্তিতে। হঠাৎ কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ ও ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন কর্মীরা। কোম্পানি কেবলমাত্র স্থায়ী কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে খবর। ওই প্ল্যান্টের আন্দোলনরত এক কর্মী জানান, ৭০০’র বেশি কর্মী পেপসি ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত। যেখানে স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা মাত্র ১১২ জন। যে ট্রাক ড্রাইভার থেকে অস্থায়ী কর্মী তাঁর জীবনের ২০ টা বছর সংস্থায় দিলেন, তাঁর কথা ভাববে না কোম্পানি? চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা অস্থায়ী কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন এবং কোম্পানি তা অগ্রাহ্য করে। অতিমারির কারণ দেখিয়ে তাই কি তাঁদের ছেঁটে ফেলা হচ্ছে? প্রশ্ন আন্দোলনরত কর্মীদের।
Comments are closed.