কেরল সোনা পাচার মামলায় নয়া মোড়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) বিরুদ্ধে FIR কেরল পুলিশের। ED র বিরুদ্ধে অভিযোগ, অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নাম নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি একটি অডিও ক্লিপিংস প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে বলতে শোনা গিয়েছে, ইডির আধিকারিকরা তাঁকে পিনারাই বিজয়নের নাম বলতে চাপ দিয়েছিলেন। ফাঁস হয়ে যাওয়া অডিও ক্লিপটিতে তাঁর গলার আওয়াজই শোনা যাচ্ছে বলে কেরল পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ।
২০২০ সালের জুলাই মাসে সোনা পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের দফতরের তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রচার সংক্রান্ত বিভাগের প্রাক্তন আধিকারিক স্বপ্না সুরেশকে গ্রেফতার করা হয়। ১৪.৮২ কোটি টাকা মূল্যের সোনা পাচারে মূল অভিযুক্ত স্বপ্না। গত বছর ১২ ও ১৩ অগাস্ট ইডির মুখোমুখি হয়েছিলেন স্বপ্না। এরপর ১৯ নভেম্বর ৩৫ সেকেন্ডের এই অডিও ক্লিপিংসটি ফাঁস হয়।
তাতেই উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীকে ফাঁসানোর জন্য ED র চাপ দেওয়ার অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় সংস্থা ED কেন কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে ফাঁসাতে চাইবে? এর পিছনে রাজনীতি নেই তো?
ইডির টিমের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে অভিযুক্ত করা, প্রমাণ লোপাট করা, মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এর ফলে ৭ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। জানা গিয়েছে, রাধাকৃষ্ণন নামে এক ইডি আধিকারিক স্বপ্না সুরেশকে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের নাম লেখার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এই মামলায় অপর এক অভিযুক্ত সন্দীপ নায়ার সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়ে রাধাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।
[আরও পড়ুন- ভোটের সময় গদ্দারটা গুণ্ডামি করতে এলে আটকে দেবেন, খেজুরি থেকে তোপ মমতার]
২০২০ সালের জুলাই মাসে ৩০ কেজি সোনা যার বাজারমূল্য ১৪ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা, ধরা পরে। জানা যায় ডিপ্লোম্যাটিক ব্যাগেজে ভরে ওই সোনা তিরুবনন্তপুরমের সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কনসুলেট জেনারেলের ঠিকানায় পাঠানো হচ্ছিল। জানা যায় স্বপ্না সুরেশ নিজের প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করেছিলেন। তারপর থেকেই সোনা কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক চলছে। এবার এই ইসুত্ব সামনে এলো এক চাঞ্চল্যকর খবর।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভোট মুখী রাজ্যে বিরোধীদের উপর চাপ তৈরির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে আজকের নয়। সিবিআইয়ের অপব্যবহার রুখতে অধিকাংশ অবিজেপি শাসিত রাজ্য সিবিআইয়ের তদন্তের ক্ষেত্রে অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এবার ED র টিমের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপরই পাল্টা চাপ তৈরি করল কেরলের বাম সরকার। এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
Comments are closed.