খগেন মুর্মুর ব্যক্তিগত জীবন, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মালদহে পোস্টার, বিজেপি প্রার্থী না করার দাবি! বিড়ম্বনায় গেরুয়া শিবির
সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মুকে দলে নিয়ে বিড়ম্বনায় বিজেপি। কলকাতায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিনই দিল্লি থেকে বড় চমক দিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। মালদহের হবিবপুরের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মুকে পদ্ম শিবিরে সামিল করেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়েরা। তখনই শোনা গিয়েছিল, আসন্ন লোকসভা ভোটে মালদা উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন খগেন।
কিন্তু সেই খবর মালদায় গিয়ে পৌঁছোতেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। খগেন মুর্মুর প্রার্থী পদের তুমুল বিরোধিতা করে উত্তর মালদা কেন্দ্রের দেওয়াল ছেয়ে গিয়েছে পোস্টার-ফ্লেক্সে। সিপিএম কিংবা তৃণমূল নয়, পোস্টার দিয়েছেন খোদ বিজেপির স্থানীয় নেতা, কর্মীরা। পোস্টারের বয়ানে নিশানা করা হয়েছে সদ্য সিপিএম ত্যাগী খগেন মুর্মুর ব্যক্তিগত জীবনকে। কোথাও লেখা হয়েছে ‘হিন্দু সমাজের কলঙ্ক বহুপত্নীক খগেন মুর্মুকে মানি না’ আবার কোথাও তাঁকে ‘জমি মাফিয়া’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তর মালদা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীরা পোস্টারগুলি দিয়েছেন বলে লেখা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঘুরছে এই পোস্টারগুলি। বিজেপির কর্মী পরিচয় দিয়ে উর্ধ্বতন নেতাদের হস্তক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে পোস্টারগুলিতে। খগেনকে নিয়ে জেলা বিজেপির মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ। এই পরিস্থিতিতে খগেন মুর্মুকে বিজেপি মালদহ উত্তরের প্রার্থী করবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
মালদহ জেলা বিজেপির নেতা রমণ দের দাবি, তৃণমূল, সিপিএম চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পোস্টার দেওয়ার নেপথ্যে বিজেপির কোনও কর্মী নেই। তবে খগেন মুর্মুর সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে কেউ এই পোস্টার দিয়ে থাকতে পারেন বলেও মনে করছেন রমণ দে।
বিজেপির স্থানীয় নেতা রমণ দে চক্রান্তের অভিযোগ করলেও, বিজেপিরই নিচুতলার কর্মীরা কিন্তু খগেন মুর্মুর প্রার্থী পদ নিয়ে এখনও দ্বিধায়। সদ্য বামসঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপির টিকিট আদায় করে নিতে পারবেন কি খগেন মুর্মু? আর তা পারলেও, শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের সমর্থন কতটা পাবেন হবিবপুরের বিধায়ক? প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই।
তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, একাধিক পত্নী নিয়ে স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্টই বিব্রত গেরুয়া শিবির। এব্যাপারে প্রতিক্রিয়ার জন্য খগেন মুর্মুকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
Comments are closed.