বাংলার সবচেয়ে বড় দুর্গা শুনলেই মনে পড়ে যায় দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গাপুজোর কথা। কিন্তু এবার সেই বড় দুর্গাকেই থিমের মাধ্যমে তুলে ধরছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানিকপুর অগ্রগামী সঙ্ঘ। দুর্গার উচ্চতা ৯২ ফুট। প্রথমে মাটি, এরপর প্লাস্টার অফ প্যারিস আর শেষে ফাইবার দিয়ে সেজে উঠেছেন ঘরের মেয়ে উমা। পুজোর সেক্রেটারি শ্রীবাস মজুমদার জানান, দেশপ্রিয় পার্কের পুজো দেখতে পারেননি অনেকে। তাই আমরা এই বছর সবথেকে বড় দুর্গা বানিয়ে সাধারণ মানুষকে চমক দিতে চেয়েছি।
TheBengalStory-কে তিনি জানান, যাঁরা সেই সময় দেশপ্রিয় পার্কের পুজো দেখতে পারেননি। তাঁদের মনে একটা আক্ষেপ ছিল, সেই আক্ষেপ থেকে সবথেকে বড় দুর্গা করার ভাবনা। মানিকপুর অগ্রগামী সঙ্ঘের পুজো বড় খেলার মাঠের মধ্যেই হয়। সবথেকে বড় দুর্গা দেখতে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় উপচে পড়বে। ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? শ্রীবাস মজুমদার জানান, আমরা এতদিন সেইভাব প্রচার করিনি। একটাও ব্যানার, ফ্লেক্স লাগানো হয়নি এতদিন। যা ছড়িয়েছে লোকের মুখে মুখে। শেষ ৫ থেকে ৭ দিনে আগে অনুমতি পাওয়ার পর ফ্লেক্স বানানো হয়। স্থানীয় থানার আইসির সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। আমাদের প্রায় ১০০ জন ভলেন্টিয়ার থাকবে। খেলার মাঠে পুজো হওয়ার ফলে খোলামেলা জায়গা অনেকটা পাওয়া যাবে। ঢোকার আর বেরোনোর রাস্তা আলাদা থাকছে। ৩ টি বেরোনোর রাস্তা করা হয়েছে।
৮৪ বছরের এই পুজো প্রচুর পুরস্কার পেয়েছে। এই বছর কোনও পুরস্কার আসে কিনা সেটা সময়ের অপেক্ষা। বাংলার সবথেকে বড় দুর্গা দেখতে যাবেন কীভাবে? দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম স্টেশনের মানিকপুরের হরিনাভীতেই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডেই হচ্ছে এই পুজো। সবথেকে বড় দুর্গা ছাড়াও এই বছরের পুজোর বিশেষত্ব হল ধামসা মাদল। পুরুলিয়ার সবথেকে ধামসা মাদলের দল আসছে এবার মানিকপুর অগ্রগামী সঙ্ঘে।
উল্লেখ্য, পঞ্চমীতেই বিসর্জন হয়েছিল কলকাতার সবথেকে চর্চিত দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গা পুজোর। পুজো শুরুর প্রথম দিনেই জনসমুদ্রে হাবুডুবু খেয়েছে কলকাতা পুলিশ। থমকে যায় কলকাতা। এরপরই পুলিশ কমিশনার সিদ্ধান্ত নেন সাধারণের জন্য বড় দুর্গার দরজা বন্ধ। বাইরে থেকে ঢেকে দেওয়া হয় দেশপ্রিয় পার্কের মাঠ। ঢেকে দেওয়া হয় বড় দুর্গার মুখ। বাইরে আলোর রোশনাই ছাড়া, ভিতরে টিম টিমেই চলে পুজো। তবে অগ্রগামী সঙ্ঘ পুজো কমিটির দাবি, বড় দুর্গার আকর্ষণে কলকাতার পুজো মণ্ডপকে এবার চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি তাঁরা।
Comments are closed.