চালু হল চন্দননগর-কলকাতা ওয়াটার বাস পরিষেবা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই জলযানে মাত্র দেড় ঘণ্টায় চন্দননগর থেকে কলকাতা যাতায়াত করা যাবে। পয়লা জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ওয়াটার বাস পরিষেবা। আপাতত সোমবার থেকে শুক্রবার এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে খবর।
সকাল আটটায় চন্দননগরের রাণীঘাট থেকে ছাড়বে। ৮ টা ৩০ মিনিটে শেওড়াফুলি, ৮টা ৪০ মিনিটে শ্রীরামপুর এবং ৯টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার মিলেনিয়াম ঘাট জেটিতে পৌঁছবে। আবার বিকেল ৪ টার সময় মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছেড়ে ওয়াটার বাসটি চন্দননগর পৌঁছবে বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিটে। চন্দননগর থেকে মিলেনিয়াম পার্ক পর্যন্ত মাথাপিছু ভাড়া পড়বে ৩২০ টাকা। এছাড়া শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, শেওড়াফুলি থেকে মিলেনিয়াম পার্ক পর্যন্ত টিকিট মূল্য ২৫০ টাকা। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই পরিষেবা চালু করল রাজ্য পরিবহণ দফতর।
জানা গিয়েছে, লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি উঠলে চন্দননগর এবং শেওড়াফুলি থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু করবে ওই সংস্থা।
করোনা পরিস্থিতিতে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা সীমিত। সরকারি বাসগুলিতেও ব্যাপক ভিড় হচ্ছে৷ দফারফা হচ্ছে ফিজিকাল ডিসট্যান্সিংয়ের। রাস্তায় যানজট কমাতে তাই এখন জলপথের উপর বেশি করে জোর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই নির্দেশ মেনে জলপথ পরিবহনকে এখন বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য পরিবহন দফতর। লকডাউনের পর দীর্ঘ দু’মাস ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন হাওড়া থেকে ফেরি পরিষেবা চালু হয়েছে। এছাড়া আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জেটিকে সারিয়ে ফেরি পরিষেবা শুরু করে দিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর পরিবহণ দফতর। রাজ্য পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে জুন মাসের শেষে চন্দননগর থেকে ফেরারলি প্লেস পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিস চালু হয়েছে। তার মধ্যে ভদ্রেশ্বর তেলেনিপাড়া, চাঁপদানি, শেওড়াফুলি, বাগবাজারে দাঁড়াচ্ছে লঞ্চগুলি। চন্দননগর থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত লঞ্চের ভাড়া ৬০ টাকা৷ শোনা যাচ্ছে, এর মধ্যে নতুন জলযান কেনার জন্যও টেন্ডার ডাকা হয়েছে। তার পাশাপাশি জলপথ পরিবহণকে ঢেলে সাজাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে কলকাতায় ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু হল।
Comments are closed.