কলকাতায় চূড়ান্ত ৬ টি সাইকেল রুট, আরও ৬ টি রুট নিয়ে চলছে আলোচনা, শীঘ্রই শুরু হবে কাজ

জোরকদমে এগচ্ছে কলকাতার পথে সাইক্লিং জোন ও সাইক্লিং পথের জন্য রোড ম্যাপ তৈরির কাজ। সমীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই সাইকেল চালানোর ১২টি রুট চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে ৬ টি রুট চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এগুলি হল,

হাওড়া- ধর্মতলা, বেহালা- ধর্মতলা, বেহালা- সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, ধর্মতলা- সল্টলেক, শিয়ালদহ- ধর্মতলা এবং খিদিরপুর-হাওড়া।

সূত্রের খবর, এই ছ’টি রুটের বাইরেও আরও ছ’টি রুট নিয়ে আলোচনা চলছে।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের রাস্তায় ‘ডেডিকেটেড সাইকেল ট্র্যাক’ তৈরি করতে প্রতিটি রাস্তায় অন্তত দুই শতাংশ জায়গা প্রয়োজন। যে রুটগুলি প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছে, তার কোন কোন রাস্তা দিয়ে সাইকেল চলবে, কীভাবে ক্রসিং লাইন টানা হবে, সব খতিয়ে দেখছে সমীক্ষক সংস্থা। ওই রাস্তাগুলো থেকে প্রয়োজনে পার্কিং লট সরানো হবে। রাস্তার কিছু অংশে হকারদের দু’দিকের বদলে একদিকে সারিবদ্ধভাবে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এদিকে রাস্তাগুলো থেকে পার্কিং সরানো হলে তার বিকল্প কী হবে, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে কেএমডিএ।

ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা, রাশিয়া, জার্মানির মতো দেশে আলাদা ‘সাইকেল বে’ তৈরি করেছে। সেখানকার রাস্তায় সাইকেল করিডর দেখার অভিজ্ঞতাকে কাহে লাগিয়ে কলকাতাতে সাইকেলের জন্য আলাদা রুট তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গত ডিসেম্বর মাসে কনসালটেন্সি এজেন্সি নিয়োগ করতে টেন্ডার ডাকে কেএমডিএ। তাতে বরাত পেয়েছে দিল্লির একটি সংস্থা। সমগ্র ‘সাইকেল বে’ প্রস্তুতির জন্য সাত সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে। যাতে রয়েছেন কেএমডিএ, কলকাতা পুলিস, কনসালটেন্সি এজেন্সি, খড়্গপুর আইআইটি এবং রাজ্যের পরিবহণ দফতরের সদস্যরা। সমীক্ষা শেষে এজেন্সি ও কমিটি আলোচনা করেই চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবে।

কলকাতায় সাইকেল করিডর তৈরি করা খুব সহজ কাজ নয়, তা স্বীকার করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, কলকাতা অপরিকল্পিত শহর। এখানকার আবহাওয়াও ইউরোপের মতো সাইকেলের চালানোর জন্য আদর্শ নয়। তবে সাইকেল পরিবেশবান্ধব যান। তাই সেই সব চিন্তাভাবনা করেই আমরা সাইকেল বে তৈরি করছি।

এদিকে এই করোনা পরিস্থিতিতে গণ পরিবহনের অভাব শহরব হঠাৎ করেই সাইকেলের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে।

Comments are closed.